লন্ডন: কবি ও গল্পকার ময়নূর রহমান বাবুলের দু’টি গল্পগ্রন্থের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও লেখক অধ্যাপক অমর্ত্য সেন।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় পূর্ব লন্ডনের বেথনালগ্রিনের অক্সফোর্ড হাউসে ময়নূর রহমান বাবুলের ‘নীল জলে নীল বিষ’ ও ‘নিগূঢ় পরম্পরা’ গল্পগ্রন্থের প্রকাশনা ও মোড়ক উন্মোচন হয়।
এতে অমর্ত্য সেন ছাড়াও গল্পগ্রন্থ দু’টির পাঠ আলোচনা করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সালেহা চৌধুরী ও কথাসাহিত্যিক মাসুদ আহমদ।
অমর্ত্য সেন বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি বিশাল ব্যাপার। অথচ এ বিশাল ব্যাপারের একটি ছোট্ট প্লট নিয়েও মুক্তিযুদ্ধকে বাবুল স্পষ্টভাবে তুলে এনেছেন তার লেখনীর শক্তি দিয়ে। গল্পের বিষয় নির্বাচনে বাবুল মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন।
কথাসাহিত্যিক মাসুদ আহমদ বিশ্বের প্রতিথযশা গল্পকার যেমন- টলস্টয়, মোপাসার গল্পের ধারা আলোচনা করে বাবুলের গল্পকে নিরীক্ষাধর্মী হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি তার গল্পের বিষয় নির্ধারণেরও প্রশংসা করেন।
কথাসাহিত্যিক সালেহা চৌধুরী ‘নিগুঢ় পরম্পরা’ বইয়ের আলোচনায় বাবুলের প্রত্যেকটি গল্পকে সাহসী উচ্চারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তার ‘তিন সিড়ি’ গল্প নিয়ে আলোচনায় সালেহা চৌধুরী ছিটমহলের মানুষের দুঃখময় হাহাকারের উপর আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজক সংগঠক ‘পলল’র সভাপতি সাংবাদিক-কলামিস্ট ফারুক যোশী তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, পলল তার যাত্রার সময় থেকেই সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের অংশীদার হয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। গল্পকার ময়নূর রহমান বাবুলের ‘নীল জলে নীল বিষ’ ও ‘নিগুড় পরম্পরা’ বইগুলোর প্রকাশনা তারই ধারাবাহিকতা।
বিশিষ্ট আবৃত্তিকার উর্মী মাযহারের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে ছিল আবৃত্তি শিল্পী শহিদুল ইসলাম সাগর ও মুনিরা পারভিনের গল্পপাঠ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফারুক যোশী।
অনুষ্ঠানে অমর্ত্য সেনকে বিলেতের বাঙালি কমিউনিটির পক্ষ থেকে চিত্রশিল্পী ও কার্টুনিস্ট আব্দুস সামাদের আঁকা অমর্ত্য সেনের একটি পোট্রেট দেওয়া হয়।
গল্পকার ময়নূর রহমান বাবুল তার অনুভূতি প্রকাশ করেন ও সবার সরব উপস্থিতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
গল্পকারের স্বজনদের পক্ষ থেকে অনুভূতি প্রকাশ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন লেখকের দুই মেয়ে জাকিয়া সুলতানা শিবা ও ইরিনা সুলতানা জাহিন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৫
এসএস