লন্ডন: পার্লামেন্টে একজন নতুন রাজনীতিকের প্রথম বক্তৃতার সময়, তার নিজের জন্য বিশেষ এক স্মরণীয় মুহূর্ত। চলতি বছরের মে মাসে ব্রিটেনে অনুষ্ঠিত হয় সাধারণ নির্বাচন।
মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এবারের পার্লামেন্টের ১৭৬ জন নতুন সংসদ সদস্যের প্রথম বক্তৃতার (মেইডেন স্পিচ) স্মরণীয় সাতের এই তালিকায় টিউলিপের স্থান সপ্তমে।
স্মরণীয় সাতে থাকা এমপিরা হলেন, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) মাইরি ব্লাক, কনজারভেটিভ পার্টির হেইডি আলেন, জনি মার্চার, লেবার পার্টির এঞ্জেলা রায়নার, কনজারভেটিভ পার্টির নুসরাত গণি, এসএনপি’র মার্টিন ডচারটি ও লেবার পার্টির টিউলিপ সিদ্দিক।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের রেওয়াজ অনুযায়ী নতুন এমপি’রা পার্লামেন্ট অধিবেশনে প্রথম যে বক্তৃতা দেন সেটিকে বলা হয় মেইডেন স্পিচ। এই বক্তৃতা মূলত পূর্বসূরীর পছন্দের ইস্যু নিয়ে বিতর্কহীন, উষ্ণ ও সংক্ষিপ্ত আকারের হয়।
টিউলিপ সিদ্দিকের প্রথম বক্তৃতায় শরনার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য নিরাপদ ব্রিটেনের বিষয়টি উঠে আসে। ব্রিটেনকে তিনি অভিবাসীবান্ধব আখ্যায়িত করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তার মায়ের ব্রিটেনে আশ্রয় লাভের কাহিনী তুলে ধরেন।
ব্রিটেনের প্রতি কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করে প্রাথমিক বক্তৃতায় পার্লামেন্টকে তিনি জানান, ওই সময় তার অসহায় মা শেখ রেহানাকে ব্রিটেন আশ্রয় দিয়েছিলো বলেই আজকের অবস্থানে তিনি আসতে পেরেছেন। এজন্যে তিনি ব্রিটিশ জনগনের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।
এদিকে, টিউলিপ সিদ্দিক যখন তার মেইডেন স্পিচ দিচ্ছিলেন, তখন গ্যালারিতে বসে তা মনযোগ দিয়ে শুনছিলেন তার খালা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মা শেখ রেহানাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। পুরো নয় মিনিটের এই বক্তৃতাই তারা শোনেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নতুন এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সংসদ সদস্য বক্তৃতায় তার খালা ও মায়ের উপস্থিতির কথাও ঐসময় উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৫
আরএইচ