ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লন্ডন

মিজারুল কায়েস

ব্রাজিলকে লাতিন আমেরিকার প্রবেশ পথ করতে চায় বাংলাদেশ

সৈয়দ আনাস পাশা, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
ব্রাজিলকে লাতিন আমেরিকার প্রবেশ পথ করতে চায় বাংলাদেশ মিজারুল কায়েস

ব্রাসিলিয়া (ব্রাজিল) থেকে ফিরে: বাণিজ্য সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ব্রাজিলকে ল্যাতিন আমেরিকার প্রবেশ পথ বানাতে চায় বাংলাদেশ। ব্রাজিলে দায়িত্ব পালনরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েস এমনটিই জানালেন বাংলানিউজকে।



সম্প্রতি ব্রাসিলিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে তিনি এই লক্ষের কথা জানান। এ সময় ব্রাজিল ছাড়াও লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন মিজারুল কায়েস।

ব্রাজিলসহ কিউবা, চিলি, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েতেও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন ঝানু এই কূটনীতিক। ২০০১ থেকে দীর্ঘ ১১ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১২ সালে বাংলাদেশ ব্রাজিলে আবার দূতাবাস কার্যক্রম চালু করে। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগদান করেন ২০১৪ সালে।

বাংলাদেশ-ব্রাজিল যৌথ উদ্যোগে অনেক কিছুই সম্ভব
মিজারুল কায়েস বলেন, এই মূহূর্তে হয়তোবা ব্রাজিলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় আকারে আমদানি বা শ্রমবাজার সৃষ্টির সম্ভাবনা কম, কিন্তু ব্রাজিল-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে অনেক কিছু করার সুযোগ আছে, যাকে কেন্দ্র করে পর্যায়ক্রমে বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রসারিত হবে।

তিনি বলেন, বিশাল আয়তনের এই দেশটি আমার দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে। আম, জাম, কাঠাল- বাংলাদেশের কোন ফলটি নেই এখানে? কৃষ্ণচূড়ায় রাঙানো ব্রাসিলিয়ার রাজপথ ফাল্গুনের রক্ত রঙে রাঙানো ঢাকা হয়েই যেন চোখের সামনে ধরা দেয়।
 
বাংলাদেশের ধান চাষের সুযোগ রয়েছে ব্রাজিলে
আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা সীমিত- এমন মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত কায়েস বলেন, তিনটি ভারতের সমান ব্রাজিলে’র উত্তরভাগ যেমন নদীমাতৃক, তেমনি উর্বর। এই মাটিতে যদি আমার দেশের কৃষক তার শ্রম দিতে পারে তাহলে খাদ্যে উদ্ধৃত বাংলাদেশের অর্থনীতির অব্যাহত অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হবে।

শুকনো মৌসুমে ব্রাজিলের নদী পাড়ের বিস্তর এলাকা জুড়ে মৌসুমী ধান চাষের সুযোগ আছে, অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় এমন সম্ভাবনাও তিনি খুঁজে পেয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানান মিজারুল কায়েস।

বাংলাদেশের পাট, গার্মেন্টস, লেদার ও ওষুধের বাজার হতে পারে ব্রাজিল- এমন তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশের পণ্যের প্রবেশাধিকার চাইলেই ব্রাজিলে বাণিজ্য সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাবে না, দুদেশের বাণিজ্য স্বার্থের কথা থাকতে হবে আমাদের প্রস্তাবে।

কায়েস বলেন, আমদানি রপ্তানির বিষয় তো রয়েছেই, তার বাইরে যেসব ক্ষেত্রে আমাদের দুদেশের অভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পণ্য রয়েছে (যেমন তৈরি পোষাক), সেসব ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে ব্রাজিলে কর্মসংস্থানের সুযোগ (ব্রাজিলিয়দের জন্যে এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশিদের জন্যে) প্রস্তাব দেশটিতে বাণিজ্যিক প্রবেশ আমাদের জন্যে সহজ করতে পারে। এই সুযোগে স্বদেশি-বিদেশি কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী আসার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
 
পাটের বাজার হতে পারে ব্রাজিল
এ প্রসঙ্গে তিনি কফির রাজ্য ব্রাজিলে বাংলাদেশের পাটের বাজার সৃষ্টির সুযোগের কথা জানান। তিনি বলেন, কফির জন্যে পাটজাত বস্তা অত্যন্ত উপযোগী। বাংলাদেশের পাট যদি ব্রাজিলের কফি বাজার ধরতে পারে তাহলে এটি হবে আমাদের জন্যে একটি বিরাট পাওয়া।
 
লাতিন আমেরিকায় বাংলাদেশের প্রবেশ পথ হতে পারে ব্রাজিল
কায়েস বলেন, পাট রপ্তানিতে শুধু ব্রাজিল নয়, চিলি, কিউবা, প্যারাগুয়ে, আর্জেন্টিনাসহ পুরো সাউথ আমেরিকাকেই আমরা টার্গেট করতে পারি। অর্থাৎ ল্যাতিন আমেরিকায় বাংলাদেশের বাণিজ্যের প্রবেশ পথ হিসেবে এখানে আমরা ব্যবহার করতে পারি ব্রাজিলকে।

তিনি জানান, স্থানীয় মূল্যসংযোজনের ভিত্তিতে এই বাংলাদেশ-ব্রাজিল পণ্যের ল্যাতিন আমেরিকায় শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুযোগ রয়েছে।

ব্রাজিলের কফিও হতে পারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য
শুধু বাংলাদেশের পণ্যই নয়, ব্রাজিলের কফিও বাংলাদেশে নেয়া যেতে পারে, এমন আরেক সম্ভাবনার কথাও বলেন ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইদানিং কফি লাভারের সংখ্যা যেহারে বাড়ছে, তাতে ব্রাজিল থেকে গ্রীন কফি বিজ নিয়ে বাংলাদেশে রোস্টিং প্লান্ট স্থাপন করলে নিজস্ব প্রয়োজন মিটিয়ে তা বাইরেও পাঠাতে পারি আমরা। এটি একটি নতুন পণ্য সংযোজন হবে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে। পাট কেন্দ্রিক হোক বা কফি কেন্দ্রিক হোক বাংলাদেশ-ব্রাজিল এমন যৌথ উদ্যোগ দুটি দেশের নিজ নিজ আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রসারে সহায়ক হবে বলেই মনে করেন রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েস। তার মতে, এতে দুদেশের পারষ্পরিক আস্থা ও সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে, বাংলাদেশের নতুন নতুন সম্ভাবনায় ব্রাজিলের সহযোগিতাও পাওয়া যাবে। এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের ওষুধ, গার্মেন্টস, লেদার ইত্যাদি পণ্যও হয়তো ধরিয়ে দেয়া যাবে ব্রাজিলের হাতে।

ডলার মূল্য বেড়ে যাওয়ায় নতুন সুযোগ বাংলাদেশের
গার্মেন্টস বিষয়ে বলতে গিয়ে এক্ষেত্রে একটু গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রদূত কায়েস। তিনি বলেন, ব্রাজিলের ডেনিম (মোটা সুতির কাপড়) অত্যন্ত উৎকর্ষমণ্ডিত। এ সেক্টর আপাতত বাদ রাখতে হবে। যে যে পণ্য তুলনামূলকভাবে নিম্ন শুল্কহারের সেগুলো নিয়ে এগুতে হবে আমাদের। এক্ষেত্রে চীন যে পণ্য রপ্তানি কমিয়ে দিয়েছে সেটি নিয়ে ভাবতে পারে বাংলাদেশ। তাছাড়া এই মুহূর্তে নতুন যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তা হলো ডলারের মূল্য এক বছরে দিগুণ বৃদ্ধি।

রাষ্ট্রদূত জানান, ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমদানিকৃত কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্রাজিলের উৎপাদন খাতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই সমস্যা আমাদের দিতে পারে নতুন একটি সুযোগ, এমন মন্তব্য করে তিনি জানান, বাংলাদেশ তাদের পণ্য তৈরি করে দিতে পারবে কি না, এমনটি জানতে চাইছে এখন ব্রাজিলের ডেনিম প্রস্তুতকারকরা।

ব্রাজিলের ডেনিম প্রস্তুতকারকদের এমন আগ্রহ নিয়ে বিজিএমই’র সঙ্গে ইতোমধ্যে তার কথাও হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান কায়েস।

বাজার কৌশল নিয়ে এবারের ঢাকা সফরের সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এমনটিই তিনি জানালেন বাংলানিউজকে।
 
ব্রাজিলিয়ান ব্যবসায়ীরা যাচ্ছেন বাংলাদেশে
রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েস বলেন, বিগত বিশ্বকাপে ব্রাজিল টিমের জার্সি তৈরি হয় বাংলাদেশে। অন্য ৩২টি দেশের ফ্যান টি-শার্টও তৈরি করে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গ আলোচনা করতে গিয়ে তিনি জানান, বিকেএমইএ’র পরিসংখ্যান মতে বিগত বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের নিটওয়্যার রপ্তারি করে বাংলাদেশ। ব্রাজিলে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চলতি বছর ব্রাজিলিয়ান ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। লাতিন আমেরিকার অর্থনৈতিক কেন্দ্র সাও পাওলোর শিল্প ও বণিক ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে ইতোমধ্যে নীতিগত ঐক্যমত্য হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান তিনি।

যৌথ উদ্যোগে গবাদিপশু ও মাংস উৎপাদন নিয়ে আলোচনা
গবাদিপশু প্রজনন ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে বাংলাদেশ-ব্রাজিল যৌথ উদ্যোগসহ এই সেক্টরের অভিজ্ঞ ব্রাজিলিয়ান ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের প্রতি আকৃষ্ট করা যায় কি না এবিষয়েও তৎপর রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েস।

তিনি জানান, মৎস ও পশুসম্পদ মন্ত্রীর পরামর্শে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে তিনি কাজ করছেন। ইতোমধ্যে ৩শ’ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী গবাদিপশু প্রজনন ফার্মগুলো  পরিদর্শন করে সম্ভাব্য পারষ্পরিক সহযোগিতার বিষয় নিয়ে তিনি আলোচনাও শুরু করেছেন, বাংলানিউজকে এমনটিই জানালেন রাষ্ট্রদূত কায়েস।

আড়াই হাজার তরুণ বাংলাদেশির বসবাস
সারা ব্রাজিলে এই মুহূর্তে তরুণ বয়সের প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশির বসবাস, এমনটি জানিয়ে ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জানান, কাজ নেই এমন বাংলাদেশির সংখ্যা খুব কমই আছে। কেউ কেউ দোকানে কাজ করছে, কেউ করছে মুরগী জবাই ফ্যাক্টরিতে, আবার কেউবা নিজেই ছোট্ট দোকান খুলে করছে ব্যবসা। ব্রাজিলে ধনী-দরিদ্রের পার্থক্য ব্যাপক হলেও বাংলাদেশি পণ্যের বাজার তৈরি কঠিন কিছু নয়, এমন মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ-ব্রাজিল যৌথ উদ্যোগে ফ্যাক্টরি করেই এখানে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সৃষ্টি সম্ভব।

মিজারুল কায়েস বলেন, আমার দেশে ভূমি কম, মানুষ বেশি। এই মানুষ আমাদের সম্পদ। ভূমির অভাবে এই সম্পদ আমরা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছি না। ব্যাবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে পারষ্পরিক আস্থা অর্জনের মাধ্যমে ব্রাজিলে এই জনসম্পদের কর্মক্ষেত্র তৈরির সুযোগ নিতে হবে আমাদের।

এই সুযোগ তৈরিতে ব্রাজিলের সহজ অভিবাসন পলিসিও সহায়ক হতে পারে বলে জানান রাষ্ট্রদূত কায়েস।
 
‘বাংলাদেশের সেলসম্যান’
রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ব্রাজিলে বাংলাদেশকে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন মিজারুল কায়েস। এরমধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনাকেই তিনি দিয়েছেন বেশি গুরুত্ব। ইতোমধ্যে ব্রাজিলের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গড়ে উঠেছে তার একটি নিবিড় সম্পর্ক। আর তাই ব্যবসায়ী মহলে বাংলাদেশের ‘সেলসম্যান’ বলেই তারা তাকে সম্বোধন করেন।
 
ই-নিউজলেটারে আকর্ষণীয় বাংলাদেশ
সীমিত লোকবলের মিশন এবং বাজিলের বড় বড় বাণিজ্যিক সিটি থেকে রাজধানী ব্রাসিলিয়ার ব্যাপক দূরত্ব সত্ত্বেও বাংলাদেশকে তুলে ধরতে প্রতিমাসে বাংলাদেশ মিশন থেকে ইংরেজি ও পর্তুগিজ ভাষায় বের করা হচ্ছে একটি ই-নিউজলেটার। বিনা খরচের এই নিউজ লেটারটিতে বাংলাদেশের খবর ছাড়াও স্থানীয় মিশনের কর্মকাণ্ড, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সম্ভাবনার খবর এবং বাংলাদেশের হৃদয়কাড়া পর্যটন স্পটগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। নিউজ লেটারটির কপি নিয়মিতই পাঠানো হয় ব্রাজিলসহ লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর শীর্ষ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোতে।
 
সার্কগ্রুপের ডীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
নিজের মেধাবী উপস্থাপনা ব্রাজিলের কূটনৈতিক অঙ্গনেও মিজারুল কায়েসকে ইতোমধ্যে ব্যাপক ইতিবাচক পরিচিতি এনে দিয়েছে। তার উদ্যোগে ব্রাজিলে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার আবাসিক ৬টি দূতাবাসের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে সার্ক গ্রুপ। প্রতিমাসে এই গ্রুপ ওয়ার্কিং লাঞ্চে মিলিত হয়। মিজারুল কায়েস এই গ্রুপের ডীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লন্ডন এর সর্বশেষ