লন্ডন: বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম উন্নয়ন সফলতার গল্পের দেশ বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন (ডিএফআইডি) বিষয়ক মন্ত্রী ররি স্টুয়ার্ট।
তিন দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী এজন্য আমি গর্বিত।
তিনি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে এজন্য এজন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দনও জানান।
বুধবার (৩১ আগস্ট) ব্রিটেনের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের কথা জানানো হয় বাংলানিউজকে।
সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ একা নয় এমন মন্তব্য করে ব্রিটিশ ডিএফআইডি মন্ত্রী বলেন, চরমপন্থা ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় অবশ্যই আমরা লড়াই করবো একযোগে। সহনশীলতা, ধারণ মানসিকতা ও স্থিতিশীলতার পক্ষে প্রচারণা চালাব একসাথে।
ব্রিটেনের উন্নয়ন কর্মসূচির মূল ফোকাস সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সমতা আনয়নের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনই আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।
সাম্প্রতিক সফরে বাংলাদেশের মন্ত্রী এবং বিজনেস ও উন্নয়ন সেক্টর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে এই ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, দুদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে আমাদের লক্ষ্য অভিন্ন।
বিশ্বব্যাপী সমমনা সংস্কারমুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করার ক্ষেত্রে নিজের দেশের দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পারস্পরিক কর্মসূচি নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আগামী বছরগুলোতেও আমরা একত্রে কাজ করতে চাই।
তিন দিনের সফরে ররি স্টুয়ার্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রী ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
জাতীয় আয়ের ০.৭ ভাগ আন্তর্জাতিক উন্নয়নে ব্যয়ে
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্রিটেন জি-৭ ভুক্ত একমাত্র দেশ, যেটি এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী এ দেশ গত বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নে ১৮৫ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৬
এসআর