লন্ডন: বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রেস উইংয়ের উদ্যোগে লন্ডনে প্রথমবারের মত শুরু হয়েছে 'সামিট বাংলাদেশ ইভিনিং'।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় লন্ডনের মর্যাদাপূর্ণ নেহেরু সেন্টারে সামিটের উদ্বোধন হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাহিত্য সংস্কৃতি তুলে ধরা হয় দেশি-বিদেশি দর্শকদের সামনে। রোববার পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে এর সমাপনি পর্ব।
জয় বাংলা, বাংলার জয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া 'সামিট বাংলাদেশ ইভিনিং' এর উদ্বোধনী পর্ব শেষ হয় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে। ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রমাণ্যচিত্র ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’।
প্রথমদিনের অনুষ্ঠানে আরো ছিল গান, নৃত্য ও কবিতা আবৃত্তি। এতে অংশ নেন কবি শামীম আজাদ, স্মৃতি আজাদ, গৌরি চৌধুরী, হাসি রাণি প্রমুখ।
ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সাহিত্য সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরার চেষ্টা হচ্ছে, এমনটাই জানালেন অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার প্রেস নাদিম কাদির।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমাদের রয়েছে এমন একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, যা অনেক জাতিরই নেই। ব্রিটেনের বহু সাংস্কৃতিক সমাজে আমাদের সংস্কৃতির সম্মানজনক একটি অবস্থান রয়েছে, লন্ডনে দায়িত্ব পালন করতে এসে মূলধারার সাংবাদিকদের সঙ্গে মিশতে গিয়ে আমি এটি বুঝতে পেরেছি বলেই ‘সামিট বাংলাদেশ ইভিনিং' আয়োজনে অনুপ্রাণিত হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা শুরু করলাম, হাইকমিশনের প্রেস উইংয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরই এটি অনুষ্ঠিত হবে এমনটিই আমাদের আশা।
সামিট বাংলাদেশ ইভিনিংয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন লন্ডনের বাংলাদেশ মিশনের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার খোন্দকার মোহাম্মদ তালহা।
মিনিস্টার প্রেস নাদিম কাদিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নেহেরু সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর ভিবা মেহদিরেতাও বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের এ আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। বাংলাদেশসহ সাউথ এশিয়ান ঐতিহ্য তুলে ধরতে নেহেরু সেন্টার এবং ভারতীয় হাইকমিশন এমন উদ্যোগে সহযোগিতা করবে। ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে এ জাতীয় উদ্যোগ নিলে নেহেরু সেন্টারের সহযোগিতার হাত প্রসারিত থাকবে বলেও আশ্বাস দেন ভিবা মেহদিরেতা তাঁর বক্তৃতায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৬
আরএ