লন্ডন: চরমপন্থা মোকাবেলা, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কমনওয়েলথ বৈশ্বিক ঐক্য তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা আইনজীবী ড. কামাল হোসেন।
স্থানীয় সময় ২৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) লন্ডনে কমনওয়েলথ সচিবালয়ে সংস্থাটির মহাসচিব পেট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে চরমপন্থা, অন্যায়-অবিচার, জলবায়ু পরিবর্তন ও তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলেন ড. কামাল।
কমনওয়েলথ মহাসচিব হিসেবে পেট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ন্যায়বিচার, শিক্ষা, অধিকার ও মূল্যবোধের স্বীকৃতির মতো সার্বজনীন বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে সমন্বয়কের ভূমিকা রাখার অনন্য সুযোগ রয়েছে কমনওয়েলথের।
‘যারা নতুন কিছু করতে চায়, সেই তরুণ প্রজন্মের জন্য এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। কারণ তাদের ভবিষ্যত এখন ঝুঁকিতে,’ বলেও মন্তব্য ড. কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, ৫২টি রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত কমনওয়েলথের নেতৃত্বে দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হতে প্রস্তুত রয়েছে। যারা অসহনশীলতা ও চরমপন্থা মোকাবেলা করবে।
নোবেলজয়ী অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের নেতৃত্বে ‘রেসপেক্ট অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ বিষয়ক কমনওয়েলথ কমিশনের একজন সদস্য ড. কামাল হোসেন।
তিনি কমনওয়েলথ প্রতিবেদন ‘সিভিল পাথস টু পিস’ প্রতিবেদনেরও একজন সহরচিয়তা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
এমএ/