বঙ্গবন্ধুর নাতনি ও শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। ২০১৫ সালেও একই আসন থেকে লড়ে জয় পেয়েছিলেন তিনি।
এমন বড় জয়ের পেছনে যারা কাজ করেছেন, প্রচারণায় ছিলেন, দিনরাত খেটে কাজ করেছেন তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি।
এক সেমিনারে ভিক্টোরি স্পিচের সময় তিনি মঞ্চে ডেকে নেন পরিবারের সদস্য- স্বামী, মা, ছোট বোন, ভাইকে। সিলেটি কমিউনিটির নাম উচ্চারণ করেন টিউলিপ। সেখানকার ভাষায় বলেন, ‘‘আমি সিলেটের ফুরি নায়, তবুও আমারে সিলেটের মানুষ তাদের নিজেদের মেয়ে মনে করে জিতিয়েছেন। ’’
ব্রেন্ট কাউন্সিলের সাবেক মেয়র পারভেজ আহেমদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, কাউন্সিলর আবদুল হাইকে কাছে ডেকে মঞ্চে তুলে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে আলাদা করে ছবিও তুলেছেন টিউলিপ। সংবাদমাধ্যমের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন, তবুও যেন টিউলিপের কৃতজ্ঞতা শেষ হয় না। ধন্যবাদ দিয়ে যাচ্ছিলেন বারেবারে।
ইতোপূর্বে টিউলিপ ছিলেন শ্যাডো ক্যাবিনেটে। এবার বড় জয়ে তার জন্য নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ শ্যাডো ক্যাবিনেট অপেক্ষা করছে।
শেখ রেহানা তার বক্তব্যে বলেন, ‘‘দেখেন একটা ছোট বাচ্চা নিয়ে মেয়েটা ইলেকশন ক্যাম্পেইন করেছে। এতো ছোট বাচ্চা রেখে মেয়েটা এতো শ্রম দিয়েছে যা কল্পনা করা যায় না। টিউলিপকে সহযোগিতা করেছে তার নির্বাচনী এলাকার সব তরুণ ভোটাররা। দিনরাত এই ছেলে-মেয়েগুলো খেটেছে টিউলিপের জন্য। জেরমি করবিনকে দেখেন, কত সৎ একটা মানুষ; তিনিও জিতেছেন। তরুণ ভোটাররা এই নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ’’
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৭
আইএ