তিনি বলেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। এটাই জাতির পিতা শিখিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রী তার প্যারিস সফররত আবাসস্থল ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্যারিস লা গ্র্যান্ড হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু আমাদের একেবারে প্রতিবেশী, তাদের (মিয়ানমার) সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হবে না। কিন্তু এই সমস্যাটা তাদের সৃষ্টি করা। এই সমস্যা তাদের নিরসন করতে হবে এবং মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে। ’
রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনকে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্ববাসীর সমর্থনের সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেকের সমর্থন আমরা পেয়েছি। সকলেই বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এভাবে সকল রাষ্ট্র আমাদের সমর্থন দিয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা সমর্থন পেয়েছি সারাবিশ্বের মানুষের। সব দেশের সরকার নয়। কিন্তু সারাবিশ্বের মানুষের সমর্থন পেয়েছি আমরা। আর এই রোহিঙ্গা সংকটেও পৃথিবীর প্রায় সব দেশই বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে। ’
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে যে তাদের ফেরত পাঠাবো। সেজন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে পারবো।
রাখাইনে স্থানীয় বাহিনীর সংঘাতে মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বিতাড়নের শিকার হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষ বাংলাদেশে চলে এসেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
এমইউএম/এইচএ/
** গ্রুপিং মিটিয়ে দলকে শক্তিশালী করার তাগিদ শেখ হাসিনার
** রোহিঙ্গা সংকট মারাত্মক প্রভাব ফেলছে বন-পরিবেশে
** রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কাজ করবে ফ্রান্স