জার্মান ভাষায় ফ্লু'কে বলে Grippe (গ্রিপ্পে)। রোগটি আমাদের বাংলাদেশের ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের মত।
রোগটির উপসর্গ ইনফ্লুয়েঞ্জার মত। সর্দি, কাশি,গলাব্যথা,জ্বর, মাথাব্যথা ও খাবারে অরুচি দেখা দেয়। সাধারণত শীতের শুরুর প্রথম দিকে যেমন ডিসেম্বরের শেষ থেকে আরম্ভ করে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কমবেশি অধিকাংশ মানুষই এই ফ্লু’তে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আবার শীতের শেষে গরমের শুরুর প্রথম দিকেও মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
মানুষ সহজে এই রোগের ভাইরাসে আক্রান্ত হয় স্কুল, কলেজ, বিপনি বিতানে মেলামেশা থেকে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর কমপক্ষ তিন শতাধিক মানুষ এ কারণে মারা যান। মৃত্যুর জন্য অবশ্য ফ্লু থেকে নিউমোনিয়া ও অন্যান্য শীতকালীন রোগের কথা সরকারিভাবে উল্লেখ করা হয়।
ফ্লু বা মারাত্মক গ্রিপ্পে’তে ঘরে ঘরে মানুষকে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। প্রবল মাথাব্যথা, শরীরের প্রতিটি জয়েন্টে ব্যথা এবং খাবারে অরুচি মানুষকে খুব বেশি দুর্বল করে ফেলে। বাংলাদেশের ভাইরাস জ্বরের মতো এখানেও আক্রান্ত রোগীরা প্রায় তিন সপ্তাহ থেকে এক মাসের মত সময় নিয়ে আরোগ্য লাভ করেন।
তবে জার্মানির রোগ মোকাবেলার ব্যবস্থা অতি চমৎকার। ভ্যাকসিন, টিকা ছাড়াও হাসপাতালে ফ্লু রোগীদের জন্য আলাদা ও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা ঘরে ঘরে হাজির হন রোগাক্রান্ত মানুষের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য। রোগীদের জন্য চালু করা হয় বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স ও যানবাহন।
মানুষের শরীর ও মন পৃথিবীর জলবায়ুর সাথে সম্পর্কিত। পরিবেশ বিপর্যয় ও তাপমাত্রার অস্থিতিশীলতার কারণে স্বাভাবিক জীবন বিপণ্ন হচ্ছে। বাড়ছে রোগ-ব্যাধি। পরিবেশবান্ধব জীবন যাপনের মাধ্যমে নানা রোগের প্রকোপ আগেভাগে প্রতিহত করা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
জেএম