অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন জার্মান যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সোহেল। এরপর জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনাপর্ব।
স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় বক্তাগণ বলেন, ১৯৭১ সালের এই মাসে বাঙ্গালী জাতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ‘স্বাধীনতার সংগ্রামে’, মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিল। আর বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুতনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু একটি অশুভ শক্তি ও তাদের দোসররা নানা কৌশলে বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপরেখাকে নস্যাৎ করার নানা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তাদের এসব অপচেষ্টাকে বানচাল করতে বক্তারা সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে মজবুত করতে মুজিব সৈনিকদের আহ্বান জানান।
টেলিকনফারেন্স বক্তৃতায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডঃ সাজ্জাদ হায়দার লিটন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে মার্চ মাসের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এই মাসেই বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম। তাঁর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটের সূচনালগ্ন। আর ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। তাই এই মাসে বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক শান্তি মডেল বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া দেশে ও দেশের বাইরে আওয়ামী যুবলীগসহ দলের সকল শাখার কার্যক্রমকে আরও জোরদার করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
জার্মান আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল হোসাইন টিপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সোহেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন হায়দার মনি, ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের প্রবাসীকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী হাসনাত মিয়া, জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম পুলক, জার্মান আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর রহমান আলম, শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদ, জার্মান শাখার সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা নোমান হামিদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহফুজ ফারুক, জার্মান আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কাজী আসিফ হোসেন দীপ, যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ইসমত আরা আহসান, প্রচার সম্পাদক সামিউর রহমান এবং ফ্রান্স যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান।
পরিশেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে উদ্দীপনামূলক দেশের গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আব্দুল মুনিম এবং পলি সেলিম। কবিতা আবৃত্তি করেন কবি ও আঁকিয়ে মীর জাবেদা ইয়াসমিন ইমি, নিগার সুলতানা, হাফিজুর রহমান আলম এবং কবি হোসাইন আব্দুল হাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮
জেএম