তিনি বলেন, শেখ হাসিনার এ মানবিক উদ্যোগের ফলে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বেঁচে থাকার আশ্রয় পেয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্স জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য জ্য ফ্রাসোয়া এমবায়ের দপ্তরে ফ্রান্স প্রবাসী সাংবাদিক ও রাজনীতিক ফারুক নওয়াজ খানের সঙ্গে আলোচনায় একথা বলেন।
জ্য ফ্রাসোয়া এমবায়ে বলেন, ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ নাজুক অবস্থায় রয়েছে। অধিক জনসংখ্যা এ দেশটির সবচেয়ে বড় সমস্যা। সীমিত অর্থনীতি নিয়ে দেশটি আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এ রকম অবস্থায় দশ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাদের চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা করা বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই কঠিন একটি বিষয়। কিন্তু সবার ঊর্ধ্বে মানবতাকে স্থান দিয়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যার পরও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসনে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ ও ফ্রান্স জোরালো ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গতবছর ডিসেম্বরে রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি দেখার জন্য ফ্রান্সের সংসদীয় কমিটির সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। সেখানে রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা নিজের চোখে দেখেছেন। অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের স্বদেশভূমিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে দাবিও তুলেছেন তারা।
এ বছর ডিসেম্বরে আবার মিয়ানমার গিয়ে সে দেশের সঙ্গে আলোচনা করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইতিবাচক সাড়া আসবে বলে জানান তিনি। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কারণে বাংলাদেশের প্রতিবেশ ও পরিবেশগত অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে এসব দূর করার জন্যই তাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
টিআর/এএ