ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় দেশি খাবারের ‘রাঁধুনি’

মাজেদুল নয়ন ও সাজেদা সুইটি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৪
মালয়েশিয়ায় দেশি খাবারের ‘রাঁধুনি’

কুয়ালালামপুর থেকে: শুধু কোতোরায়ায় নয়, পুরো মালয়েশিয়াতেই বাঙালি রসনার জন্যে এক নামে সবাই চেনেন ‘রাঁধুনি’ রেস্তোরাকে। এখানকার বাঙালি খাবারে রসনা তৃপ্ত ও মন জুড়ায় প্রবাসী বাংলাদেশি ও বেড়াতে আসা দেশের মানুষের।

আর তাই যারা মালেয়েশিয়ায় এসে দেশি খাবারের স্বাদ নিতে চান, তাদের জন্যে উপযুক্ত হবে রাঁধুনি।
 
এখানে থাই, চায়নিজ, ভারতীয়, ইন্দোনেশিয়ান রেস্টুরেন্ট রয়েছে অনেক। কিন্তু সেসবে গিয়ে মন ভরে না বাংলাদেশিদের। বিদেশি খাবার ও বিদেশি বেয়ারা দিয়ে খাবারে তৃপ্তি দেয় না তাদের। তাইতো দেশি রেস্তোরা আর দেশি খাবার খোঁজেন সকলেই।
 
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে কথা হয় রাঁধুনি রেস্টুরেন্টের মালিক মো. মিন্টুর সঙ্গে।
 
এ বছরের ১ মে এ রেস্টুরেন্টের দ্বায়িত্ব নেন তিনি। বলেন, ঢাকাতেও এক নামে এখন সবাই চেনেন রাঁধুনির নাম।
 
মিন্টু বলেন, এখানে যে খানা-পিনা রয়েছে তা আর আশপাশে কোথাও নেই। সত্যিকারের দেশি খাবারের স্বাদ পাওয়া যাবে এখানে।
 
বলেন, আমি মশলা ভালো দেই, তেল ভালো দেই। অন্যরা যেখানে এক গ্যালন তেল দেন,  প্রয়োজনে সেখানে আমি দেই তিন গ্যালন। অন্তত এটুকু বলতে পারি, কাস্টমাররা খেয়ে তৃপ্তি পান। তাই অনেকে বুকিত বিনতাং বা আমপাং থেকেও বাস ভাড়া খরচ করে আমার এখানে খেতে আসেন। আর বাংলাদেশি কাস্টমারদের কাছ থেকে আমি বিলও কম রাখি।
 
মিন্টু বলেন, আমি চেষ্টা করি, ১০ জনের কাছে বিক্রি না করে ২০ জনের কাছে বিক্রি করতে।
 
কোতোরায়াতে শনি ও রোববারে বেশি ভিড় হয়। বাংলাদেশিরা বেশিরভাগই এখানে আসেন। পরিচিতজনেরা এখানে বসে গল্প এবং খাওয়া-দাওয়া করেন। প্রবাসীরা নিজের সুখ-দুঃখের কথা বলেন।

মিন্টু বলেন, এটাও আমার ভালো লাগে।
 
তিনি বলেন, আসলে শুধু খাওয়া-দাওয়া নয়, দেশের মানুষের সঙ্গে আলাপ করার জায়গাও এখন রাঁধুনি। এখানে এসে গল্প করতে করতেই অনেকের পরিচয় হয়। ভাব জমে। একে অপরের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হন।
 
২০০০ সালে মালয়েশিয়ায় আসেন মিন্টু। এরপর ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিতে চাকরি করেন কিছুদিন। ২০০২ সাল থেকেই ব্যবসায় নামেন তিনি। নিজেকে মালয়েশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত করতে কঠোর পরিশ্রম করেন। বলেন, সততা দিয়েই নিজেকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করেছি।
 
২০১১ সালে এক মালয় নারীর সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি। গত বছরের আগস্টে তাদের ঘরে আসে একটি মেয়ে।
 
এখানে জালানদূত এলাকা আর পুডুয়ায় দুটি মিনি মার্কেটও রয়েছে মিন্টুর। এখানে এসে বাংলাদেশিরা কিনতে পারেন চকলেট, প্রসাধনী সামগ্রী আর প্রয়োজনীয় অনেক অনেক কিছু।
 
বর্তমানে রাঁধুনিতে বাবুর্চিসহ রয়েছেন ৭ জন কর্মচারী। মিন্টু বলেন, প্রতিদিনই প্রচুর খাবারের অর্ডার থাকে।
 
খাবার পরিবেশনের স্থানে গিয়ে দেখা গেছে, রয়েছে দেশি মুরগির মাংস, ফার্মের মুরগির মাংস, গরু আর খাসির মাংস, রুই মাই, কই মাছ, তেলাপিয়া, বিভিন্ন ধরনের সবজি ভাজি আর ভর্তা। দূর দেশে এতো রকমের দেশি খাবার দেখে যে কোনো বাংলাদেশিরই জিভে জল আসবে।
 
তাই কোতোরায়ায় ১১৫ জালান তু্ন সুই ইনে গেলেই দেখা মিলবে রাঁধুনির। দেশ থেকে যারা মালয়েশিয়ায় যেয়ে দেশি খাবারের স্বাদ পেতে চান ফোন দিতে পারেন +৬০১৬৬৪৮৪৭৭৭ নম্বরেও। কথা হবে মিন্টুর সঙ্গে।


 





বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ