কুয়ালালামপুর থেকে: গত ৮ মার্চ ‘এমএইচ৩৭০’ ট্রাজেডির রেশ এখনও কাটেনি। পুরো মালয়েশিয়া জুড়ে বড়বড় বিলবোর্ডে ওই ফ্লাইটের নিখোঁজ যাত্রীদের জন্য দোয়া করার আহ্বান জানানো হয়।
মালয়েশিয়ার মানুষ এখনও জানেন না এমএইচ৩৭০ এর পরিণতি কি। অথচ ওই ট্রাজেডির মাত্র চার মাসের মাথায় হানা দিল আর একটি বড় দুর্ঘটনা। এবার প্লেনের দেখা মিললো ঠিকই, কিন্তু পাওয়া গেল আরও ২৯৮টি প্রাণের নিভে যাওয়ার খবর।
উপুর্যপরি দু’টি বিমান দুর্ঘটনায় পুরো মালয়েশিয়া জুড়ে এখন শোকের ছায়া। জাতীয় পতাকা রয়েছে অর্ধনমিত। মানুষের মুখে শুধু একটি মাত্রই কথা, কেন আবারও মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স?
এমনিতেই ‘এমএইচ ৩৭০’ ট্রাজেডির পর মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে ৩০ শতাংশ। মালয়েশিয়া সরকারও ওই এয়ারলাইন্সকে বন্ধ করে নতুন একটি এয়ারলাইন্স খোলার চিন্তাভাবনা করছিলো। ঠিক তখনই দ্বিতীয়বারের মত ট্রাজেডির কবলে পড়লো এককালের সুনামধন্য এই আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স।
এখন প্রশ্ন হল এমএইচ১৭ কি যথাযথ বিচার পাবে? এটি একটি ভুল নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড?
মালয়েশিয়ার নাগরিকরা মনে করছেন, এর সমাধান হবে না। মালয়েশিয়ান সরকার বিশ্বের আঙ্গিনায় অনেক দুর্বল। অনেকে মনে করছেন, পরাশক্তি রাশিয়ার যদি এ ভুল হয়ে থাকেও, তবু তারা কখনই মালয়েশিয়ার কাছে তা স্বীকার করবে না। আর মালয়েশিয়া সরকারেরও চাপ সৃষ্টি করার ক্ষমতা অনেক কম।
এভাবেই হয়তো অপমৃত্যু হবে আরেকটি ট্রাজেডির কারণ অনুসন্ধানের।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৪