কুয়ালালামপুর: ১৭ এপ্রিল ১৯৯৭। আইসিসি ট্রফি-এর ফাইনাল।
ব্যাটিং প্রান্তে হাসিবুল হোসেন শান্ত। পুরো বাংলাদেশের মানুষ রেডিওতে কান পেতে রয়েছে। চৌধুরী জাফরউল্লাহ শরাফাতের প্রাণবন্ত কমেন্টরিতে মনোযোগ সবার।
কেনিয়ার মারটিন সুজির লেগ সাইডের বল পায়ে লেগে লেগ বাই, শান্তকে শান্ত রাখা গেল না। রান নিয়ে ছুটলেন টিমের সাজঘরে। আরেক নায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটও ছুটলেন। রচনা হল ইতিহাসের।
বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। ক্রিকেট বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়াল আরও একটি দেশ।
প্রায় ১৬ বছর পর ফিরে এলাম কুয়ালালামপুরের কিলাত কিলাব মাঠে। স্মৃতি বিজড়িত এই মাঠ। প্রথমে খুঁজে পেতে বেশ কষ্ট হয়েছিল।
স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করেও মেলেনি সঠিক তথ্য। শেষে মালয়েশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের শরণাপন্ন হয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় কিলাত কিলাব মাঠের। এখন এ মাঠে কোনো ক্রিকেট খেলা হয় না।
নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে তেনাগা জাতীয় স্পোর্টস কমপ্লেক্স। মাঠটি ব্যবহার হয় বেশির ভাগ ফুটবল খেলার জন্য। পাশে গড়ে উঠেছে মসজিদ এবং টেলিকম মালয়েশিয়ার বিশাল টাওয়ার।
মাঠে ক্রিকেট পিচ নেই। গ্যালারি ও ড্রেসিং রুম রয়েছে আগের মতোই। মাঠের পাশে বিশাল হাইওয়ে। বিশাল পার্কিং এবং টেনিস কোর্ট। একমাত্র মাঠ জুড়ে বিশাল বিশাল গাছগুলোই ইতিহাসের সাক্ষী।
বর্তমানে ক্রিকেটে মালয়েশিয়ার বেশ উন্নয়ন হয়েছে। তাই তাদের শুধুমাত্র ক্রিকেটের জন্য নতুন করে স্টেডিয়াম করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ানদের কাছে না হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এ মাঠের গুরুত্ব অনেক বেশি। আকরাম, নান্নু, রফিক, সুজন, পাইলট এ মাঠেই এনেছিলেন লোমহর্ষক ম্যচের বিজয়। সাড়া বাংলাদেশ ফেটে উঠেছিল আনন্দে উৎসবে।
ফেরার পথে মাঠের প্রতিটি প্রান্ত হাতছানি দিচ্ছিল। অনুভব করছিলাম ১৭ এপ্রিলে কথা। মেলাতে চাচ্ছিলাম প্রতিটি মুহূর্ত। ভাসছিল বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে দর্শকের চিৎকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৪