কুয়ালালামপুর: প্রায় ৮ বছর আগে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন নিয়ে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান ফেনীর দাগনভুঞা থানার ডেউয়ালিয়া গ্রামের আব্দুল আল মামুন রাসেল।
মানসিক ভারসাম্যহীন বাবা, বৃদ্ধ মা, ছোট ভাই-বোন, প্রিয়তমা স্ত্রী আর ছয় মাসের একমাত্র কন্যা পুষ্পিতাকে দেশে রেখে আট বছর আগে পাড়ি জমিয়েছিলেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই দেশে।
যে করে হোক তাদের মুখে হাসি ফোটানো আর পুষ্পিতাকে মানুষের মত মানুষ করার স্বপ্ন ছিল রাসেলের।
কিন্তু এসব স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে গেলো। গত ১৭ আগস্ট রাতে মালয়েশিয়া জহুরবারুর মোয়া এলাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অাকস্মিকভাবে মারা যান রাসেল।
রাসেলের মৃতদেহ দেশে পাঠানোর সব বন্দোবস্ত করে স্থানীয় ফেনী সমিতি। গত ২২ আগস্ট ভোরে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে রাসেলের মৃতদেহ বহনকারী উড়োজাহাজ।
বিমানবন্দরে রাসেলের লাশ গ্রহণ করেন রাসেলের বোনের স্বামী মাওলা।
জানা গেছে, ছয় বছর আগে রাসেল মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন দুই বছর বয়সী পুষ্পিতাকে রেখে বাপের বাড়ি চলে যান রাসেলের স্ত্রী। পরে তার বিয়ে হয় অন্যত্র।
এরপর থেকে পুষ্পিতা বড় হয় রাসেলের মায়ের কাছেই। রাসেলের মৃত্যুতে এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছোট্টশিশুটি।
বাংলাদেশ সময় ১৫৫০ ঘন্টা, আগষ্ট ২৩, ২০১৪