কুয়ালালামপুর: একাই বিএনপি-জামায়াতকে দমন করার ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আলোচিত,বিতর্কিত সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
রোববার বিকেলে কুয়ালালামপুর উইজমা ফুই চুই হল রুমে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও শোক দিবস উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের শত্রু। ঘরের ভিতরে শত্রু যারা রয়েছে, তাদেরকে শনাক্ত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন , আমরা এক অকৃতজ্ঞ জাতি। পাকিস্তান এবং বৃটিশরা বঙ্গবন্ধুকে মারলো না। আমরাই জাতির জনককে সপরিবারে মেরে ফেললাম।
তিনি বলেন, খেলা শেষ হয়নি, সবে মাত্র শুরু। ওদের জেতার কোন সুযোগ নেই। মিথ্যা দিয়ে কোনদিন জয় হয় না। জামায়াত ও বিএনপি আন্দোলন করে এই সরকারকে হটাতে পারবে না। জামায়াত-বিএনপিকে দমন করতে আমি শামীম ওসমান একাই যথেষ্ট।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে শেখ মুজিবের কন্যা হিসেবে নয়, তাকে নেত্রী হিসেবে দেখেছি। কারণ তার মধ্যে আল্লাহ্ ভক্তি এবং আল্লাহর উপর অগাধ বিশ্বাস রয়েছে। তিনি দেশকে এবং দেশের জনগণকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসেন। যারা ইসলামের কথা বলে কোরআন শরিফে আগুন দিয়েছে, মসজিদ, মন্দির পুড়িয়েছে তারাই ইসলামের দুশমন, ওরা কাউকে ছাড় দেয় না। এইসবের মূল হোতা হলো খালেদা জিয়া।
শোকসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ও ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ যারা ১৫ ই আগস্ট শাহাদাৎ বরণ করেছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মকবুল হোসেন মুকুলের সভাপতিত্বে ও মোহাম্মদ শাহীন সর্দার ও মনিরুজ্জামান মনিরের যৌথ সঞ্চালনা সভায় বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের নেতারা জাতির পিতার নৃশংস হত্যাকাণ্ড বাঙালির জীবনে সবচেয়ে বড় দুঃখজনক ঘটনা বলে উল্লেখ করেন।
তারা বলেন, এটি ছিল স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির একটি বৃহত্তর চক্রান্তের অংশ যার মাধ্যমে তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। বিদেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনারও জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন চৌধুরী, শওকত হোসেন পান্না, অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক, অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন, কাইয়ুম সরকার, আব্দুল বাতেন, মোখলেসুর রহমান, আলমগীর হোসেন, মালয়েশিয়া যুবলীগের আহ্বায়ক এ কামাল চৌধুরী, তাজকীর আহমদ, মানসুর আল বাসর সোহেল, সোহেল বিন রানা, জহিরুল ইসলাম জহির, বিজয় মজুমদার, শেখ কাইয়ুম, সাব্বির আহম্মেদ, সেলিম সরদার, বিএম বাবুল, এম এ হান্নান, লিটন সরকার বাবু, শাহ সুমন, নাজমুল হোসেন, আবুল হোসেন, জাকির হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, হুমায়ুন কবির, তারিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীন, কাজী রানা, ওমর ফারুক, মো. আবু সাঈদ, নয়ন শরীফ, আব্দুর রব মিয়া প্রমুখ।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান কামাল, রাশেদ বাদল, ওহিদুর রহমান ওহিদ, মো. জাকারিয়া, আব্দুল করিম, হাফিজুর রহমান ডাবলু সহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়:১৯২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৪