ঢাকা: কক্সবাজারের মহেশখালীতে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) সই হয়েছে।
সোমবার সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ও প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং মালয়েশিয়ার পক্ষে সেদেশের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি তেনাগা ন্যাশনাল বারহাদ (টিএনটি) ও পাওয়ার এনার্জি বারহাদ (পিবি) এর মধ্যে এই সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাই কমিশনার নরলিন ওথমান, মালয়েশীয় সরকারের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অবকাঠামোগত বিশেষ দূত উতামা এস. ভেলু, তেনাগা ন্যাশনাল বারহাদ (টিএনটি) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাজরি শাহরুদ্দিন, পাওয়ার এনার্জি বারহাদ (পিবি) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট অং পেং সু, বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুহু রুহুল্লাহ।
দুই দেশের সরকারের পক্ষে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এবং মালয়েশীয় সরকারের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অবকাঠামোগত বিশেষ দূত উতামা এস. ভেলু চুক্তিতে সই করেন।
নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি সই করেন মোহাম্মদ নাজরি শাহরুদ্দিন, অং পেং সু ও আবদুহু রুহুল্লাহ।
২৫ বছর মেয়াদী এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হবে কক্সবাজারের মহেশখালীতে। ২০১৯ সালে এ নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, যেকোনো প্রকল্পে আমাদের অর্ধেক পার্টনারশিপ খুবই অস্বাভাবিক ঘটনা। আমরা খুঁজে দেখলাম আমাদের কয়লা বিদ্যুতে যেতেই হবে। জনসংখ্যা একটি বড় সমস্যা। তা সত্ত্বেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
উতামা এস. ভেলু বলেন, এই চুক্তি দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করবে। নসরুল হামিদ বিপু বলেন, টেকসই উন্নয়নে জন্য নিরিবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪