কুয়ালালামপুর: মালয়েশিয়ায় রোববার ঈদ-উল-আযহা পালিত হলেও বাংলাদেশে পালিত হয়েছে সোমবার। তাই প্রবাসীদের ঈদ দু’দিনব্যাপীই বলা চলে।
রোববার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিচালনায় ঈদ-উল আযহার বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায় কোতারায়া বাংলা মার্কেটের সামনে। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
এদিন প্রবাসীরা মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেনে এক সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করতে। প্রতিবছরের মতো এবারো কোতারায়ার ব্যবসায়ী সমিতি সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায়ের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে। শত শত প্রবাসীদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
নামাজ শুরু হওয়ার আগে ঈদের জামাতে বয়ান পেশ করেন বাংলা মসজিদের খতিব হাফেজ মওলানা মহিউদ্দিন। কোতারায়া অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে অংশ গ্রহণ করেন বাংলাদেশ হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি এসকে শাহীন। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
এছাড়াও মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল, রাশেদ বাদল, ওয়াহিদুর রহমান অহিদ, জাকারিয়া, আব্দুল করিম, বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সালাহ উদ্দিন, মির্জা সালাহ উদ্দিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের নেতারা নামাজ পড়েন কোতারায়ায়। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
ব্যবাসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক এস. এম. নিপু, এস. কে সেন্টু, বাহার, জাকিরুল ইসলাম খান এবং মালয়েশিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি আহমাদুল কবির, সাধারন সম্পাদক আমজাদ চৌধুরী রুনু, আমিনুল ইসলাম রতন, শাহাদাৎ হোসেন, জহিরুল ইসলাম, মিজানুর রহমানসহ ধর্মপ্রান মুসলমান প্রবাসীরা নামাযে অংশ নেন। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
অনুষ্ঠিত ঈদের নামাজ আদায়ে সবধরনের নিরাপত্তা দিয়েছে ডিবি কেএল। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
জামাত শেষে চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী বাংলাদেশি প্রবাসীরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন। নামাজের পরপরই প্রবাসীরা কোরবানি দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। যত্রতত্র পশু জবাইতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রবাসীরা মালয়েশিয়া ডিবি কেএল নির্ধারিত স্থানে পশু কাটাকাটি করতে দেখা যায়। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
ঈদের অনুভূতি জানাতে গিয়ে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার ইসমাইল হোসেন শাওন বাংলানিউজকে বলেন, প্রবাসীদের ঈদটা একটু কষ্টের ও বেদনাদায়ক। কারণ আনন্দের দিনে পরিবার, প্রিয়জন কাছে না থাকায় মনটা বিষন্ন হয়ে ওঠে। তারপরও সব জেলার প্রবাসীদের একত্রে দেখে দুঃখ কিছুটা ভুলে গেলাম। মনে হলো একখন্ড বাংলাদেশে ঈদের জামাত আদায় করলাম। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
ঈদ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্রগ্রামের ছেলে মালয়েশিয়া বাইনারি ইউনিভার্সিটির ছাত্র সৈয়দ মিনহাজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের ঈদ আর প্রবাসের ঈদ অনেক পার্থক্য। গ্রামে গ্রামে গরু জবাই হয়। কিন্তু মালয়েশিয়া গরু জবাই চোখে পড়েনি। তারপরও প্রবাসী বাংলাদেশিরা মিলে কোরবানি করতে দেখা গেছে। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
কোতারায়া ছাড়াও সুবাংজায়া বাংলা মসজিদ, ক্লাং, পেনাং, ছুঙ্গাই ভুলু, পুচং, মালাক্কা, জহুর বারুতে ও ঈদের নামাজ আদায় করেছেন প্রবাসীরা। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৪