ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দীপাবলী

কায়সার হামিদ হান্নান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪
মালয়েশিয়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দীপাবলী ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মালয়েশিয়া থেকে: প্রতি বছরের মতো এবছরও মালয়েশিয়াতে যথাযত মর্যাদার মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের  অন্যতম ধর্মীয়  উৎসব দীপাবলী। যা দিওয়ালী নামে সমধিক পরিচিত।



মঙ্গলবার রাতে মালয়েশিয়াতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব যা প্রথাগত রীতিনীতির মাধ্যমে প্রতি বছর পালন করা হয়।

অন্যান্য সম্প্রদায়ের প্রধান  উৎসবের মতই দীপাবলী একটি পারিবারিক হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পুনর্মিলনী। দীপাবলী উৎসবের দিন মালেশিয়াসহ ভারত, মায়ানমার, মরিসাস, ঘানা, ত্রিনিদাদ, ট্যোবাগো, সুরিনাম এবং ফিজিতে সরকারি ছুটি পালন করা হয়। মালয়েশিয়ায় দিপাবলী উপলক্ষে ব্রিফ ফির্ল্ড লিটল ইন্ডিয়া নাম পরিচিত হিদুরা রাস্তা ,রাস্তার গেইট লাল নিল বাতি দিয়ে সজ্জিত করে রেখেছে।

মালয়েশিয়া সময় ১২ টা ০১ মিনিট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আতশ বাজিতে পুরো মালয়েশিয়া মুখরিত হয়ে উঠে। আতশবাজির জলকানিতে মালয়েশিয়া আকাশ অন্য রকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। হিন্দুরা দীপাবলীর দিনে ছোট থালাতে তেল দিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয় তারা মনে করে  যা অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সত্যের বিজয়কে মহিমান্বিত করে। এ প্রদীপ সারারাতভর জ্বালিয়ে রাখা হয়।

দিনটিতে আনন্দ উৎসবের অন্যতম একটি অংশ হচ্ছে কেনাকাটা ও বিভিন্ন প্রকার বাহারী স্বাদের রান্না করা। দীপাবলীতে শাড়ি ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে মালেশিয়ার ক্ষুদে ভারত শীর্ষ পছন্দের স্থান।  

এদিন বাড়িঘর সাজানোর জন্য রঙ্গিন কাগজের বাতি এবং কলাম ব্যবহার করা হয়। কলাম রঙ্গিন চাল ও পাউডারের দিয়ে তৈরি এক ধরণের কটিন শিল্পকর্ম যা মেঝেতে তৈরি করা হয়। এই কলাম তৈরিতে অনেক প্রচেষ্টা ও দক্ষতার প্রয়োজন হয় এবং এটি খুবই মজার। দীপাবলী উৎসবের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই  বিশেষ করে বুকিত বিনতান টাইম স্কয়ার,পাসার সেনির সেন্ট্রাল মার্কেট ,মসজিদ জামেক ল আর টি বিভিন্ন কারু কাজ লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে  মালেশিয়ার বিভিন্ন শপিংমলের প্রবেশপথে দেখতে পাওয়া যায় ।

দীপাবলীর দিন ভোরে হিন্দুরা তেল দিয়ে ধর্মীয় গোসল সারেন যা তাদের শরীর ও আত্মার পবিত্রতার নিদর্শন। তারপর তারা ঘরে ও মন্দিরে প্রার্থনার আগে নতুন কাপড় পরিধান করেন।   প্রার্থনা পর্ব শেষ করে তারা পারিবারিক আড্ডা ও গল্পগুজবে মেতে ওঠেন, একে অন্যের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, নাস্তা বা ভারী আহার করেন এবং সকলে এক সঙ্গে নতুন বছরকে স্বাগত জানান। অশুভ শক্তিকে ভয় পাইয়ে দেবার জন্য অনেকেই আতশবাজি করে।

মালেশিয়ার অন্যান্য উৎসবের মতই দীপাবলী একটি বড় উপলক্ষ্য এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এতে অংশ নিয়ে থাকে। দীপাবলী দিনে মালয়েশিয়া হিন্দুরা তাদের ধর্মীয় স্থান গুলোতে প্রাথনা করে ভগমানের কাছে জাহির করে।

মালয়েশিয়া হিন্দুদের উল্লেখ যোগ্য কয়েকটি মন্দির হলো সেন তুল ,চায়না তাওন,বাতু কেবস ,সেরেম্বান ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময়: ০৫১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ