কুয়ালালামপুর: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মালয়েশিয়া কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন আখন্দ(৪৫) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া....)।
গত ৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর পৌনে একটায় কুয়ালালামপুরের ব্যস্ততম কোতারায়ার (বাংলা মার্কেট) একটি বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টে আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
বৃহস্পতিবার তার মৃতদেহ দেশে ফেরত আনার পর শুক্রবার বাদ জুম্মা তাকে সিরাজগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেলাল উদ্দিন আখন্দ অন্যান্য দিনের মতোই মঙ্গলবার দুপুরে ব্যক্তিগত কাজে কেলাং থেকে কোতারায়ায় আসেন। সেখানে একটি বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট চা খাচ্ছিলেন। দীর্ঘ সময় পর তিনি বসা থেকে উঠে দাঁড়াতেই কয়েক মিনিটের মধ্যে মাথা ঘুরে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত বাংলাদেশিরা ধরে শুইয়ে দিয়ে তার মাথায় ও চোখ-মুখে পানি দেন। হাসপাতালেও জরুরি ফোন দেয়া হয়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
হেলাল উদ্দিন সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার বাহির গোলা ইউনিয়নের ওসমান গনির ছেলে। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
হেলাল দীর্ঘ দিন ধরে মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করে আসছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে প্রবাসীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মালয়েশিয়া বিএনপি’র একাংশের সভাপতি শহীদ উল্যাহ শহীদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক ড. এমকে রহমান আরিফ, সহ-সভাপতি মাজু দেলোয়ার, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সালাহ উদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান শিশির, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মিন্টু, শাহীন শিকদার, নজরুল ইসলাম অডিট ও যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ মরহুমের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
এর আগে ৫ নভেম্বর কেলাংয়ে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি জানাজায় উপস্থিত ছিলেন। এরপর ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার তাঁর লাশ দেশে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৮ ঘন্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৪