হোটেল গ্র্যান্ড হায়াত (কুয়ালালামপুর) থেকে: আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরের হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাতে মালয়েশিয়ার এই কিংবদন্তী নেতাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রায় আধাঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় মালয়েশীয় নেতা এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সাফল্যের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর শক্তিশালী নেতৃত্বের দক্ষতারও প্রশংসা করেন মাহাথির মোহাম্মদ।
এ সময় গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সেক্টরে সরকারের নানা অর্জনও মাহাথির মোহাম্মদকে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় কুয়ালালামপুর পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নিজেকে বিশ্রামের সুযোগ না দিয়েই সন্ধ্যার আগেই সফরের কর্মসূচিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি।
সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হোটেল গ্রান্ড হায়াতের মিটিং রুমে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক বিশেষ দূত সামি ভেলু। ওই বৈঠক শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন মাহাথির মোহাম্মদ।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিশেষ ফ্লাইটটি কুয়ালালামপুরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-মন্ত্রী হাজি ইসমাইল হাজি আবদুল মুত্তালিব ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার একেএম আতিকুর রহমান। এরপর বিশেষ মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে। পথে বাংলাদেশ আর মালয়েশিয়ার পতাকা সজ্জিত ছিলো সড়কের দুই পাশ।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই অগ্রসরমান দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য, বন্ধুত্ব আর শ্রমসম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচিত হবে। সফরে আংশিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও যৌথ ইশতেহার স্বাক্ষর হবে বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে।
সফরে প্রধানমন্ত্রী দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। পুত্রজায়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রূদ্ধদ্বার আলোচনা ছাড়াও দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী অংশ নেবেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের সুযোগ সম্পর্কিত সংলাপে। পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে অনুষ্ঠিত হবে মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজ। এছাড়া কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মালয়েশিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এছাড়াও রয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদসহ একটি বড় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল, বিশিষ্ট সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলনসহ কয়েকজন সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৪
** লাল-সবুজ পতাকায় সেজেছে কুয়ালালামপুর
** বাংলাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসন বানাবে মালয়েশিয়া
** মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
** মালয়েশিয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী
** পুত্রজায়ায় হাসিনা-রাজাক বৈঠক বুধবার
** ভাড়াবিহীন বাসে ওয়াইফাই ও এসি!