কুয়ালালামপুর:: মালয়েশিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্ম ব্যস্ততার দিন বুধবার। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই অগ্রসরমান দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য, বন্ধুত্ব আর শ্রমসম্পর্কের নতুন নতুন দিক উন্মোচিত হচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, ২০১২ সালে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে শ্রমিক নিয়োগ বিষয়ে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে সংশোধনী আনা হচ্ছে। পর্যটন খাতে দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক সই হবে। যাতে ভিসার প্রয়োজনিয়তার ক্ষেত্রে আংশিক ছাড় আসতে পারে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক, শিল্প-কলা ইস্যুতেরও সমঝোতা স্মারক সই করবে দুই দেশ।
বুধবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের সুযোগ সম্পর্কিত সংলাপে।
স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় এই সংলাপে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতের বলরুমে অনুষ্ঠেয় এই সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখবেন মালয় সাউথ-সাউথ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আজমান হাশিম। মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এতে অংশ নিয়ে মতবিনিময় করবেন। সমাপনী বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশের হাই কমিশনার আতিকুর রহমান।
সংলাপ পরবর্তী মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেওয়ার পর দুপুর আড়াইটার দিকে পুত্রজায়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা তিনটা নাগাদ সেখানে পারদানা স্কয়ারে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছার কথা রয়েছে তার। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন সরকারি অনুষ্ঠানাদি আয়োজনের প্রধান ওসমান মাহমুদ। স্যালুটিং ডায়াসে শুভেচ্ছা বিনিময় হবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ নাজিবতুন আবদুল রাজাকের সঙ্গে।
এরপরপরই রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান। এতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার পর দুই নেতা গার্ড অব অনার পরিদর্শন করবেন। দুই দেশের অভ্যর্থনা সারিতে দাঁড়ানো প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরিচয়, কূটনীতিক কোরের সঙ্গে পরিচয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই অনুষ্ঠান। এর পরপরই ছবি তোলার জন্য দাঁড়াবেন দুই নেতা। আর সবশেষে ভিজিটরস বুকে স্বাক্ষর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুই প্রধানমন্ত্রীর রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে। বৈঠক শেষে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে তারা যাবেন পারদানা মিটিং রুমে। সেখানে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
এর পরপরই কুয়ালালামপুরে আবাসিক হোটেলে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্রাম শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ফের পুত্রজায়ার উদ্দেশে যাত্রা। রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন সেরি পারদানায় নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি। প্রোটোকল রুমে এই আনুষ্ঠানিক নৈশভোজের পর রাত সাড়ে ৯টায় ফের আবাসস্থল হোটেলে গ্র্যান্ড হায়াতে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে মঙ্গলবার কুয়ালালামপুর পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তার সঙ্গে হোটেল স্যুটে দেখা করতে আসেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা স্যামি ভেলু ও দেশটির একসময়ের ভিশনারী প্রধানমন্ত্রী ও আধুনিক মালয়েশিয়া গড়ার কারিগর মাহাথির মোহাম্মদ।
এরপর রাতে তিনি যোগ দেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটির দেওয়া গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন মালয়েশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহজইনুদ্দিন, মানবসম্পদ বিষয়ক উপমন্ত্রী হাজি ইসমাইল হাজি আবদুল মুত্তালিব ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার একেএম আতিকুর রহমান।
বাংলাদেশ সময় বেলা ২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৪
**‘ভূতের পিছ পা বিএনপি জামায়াতের !’
** মাহাথিরকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ
** লাল-সবুজ পতাকায় সেজেছে কুয়ালালামপুর
** বাংলাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসন বানাবে মালয়েশিয়া
** মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
** মালয়েশিয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী
** পুত্রজায়ায় হাসিনা-রাজাক বৈঠক বুধবার
** ভাড়াবিহীন বাসে ওয়াইফাই ও এসি!