ঢাকা: ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে চলাচলকারী মালিন্দো এয়ারলাইন্সে বিলম্ব হচ্ছে প্রতিদিন, ঘটছে যাত্রী বিড়ম্বনা। সিডিউল টাইমের অনেক পরে আকাশে উড়ছে Not just low cost – ‘শুধু কম খরচ নয়’ স্লোগান নিয়ে শুরু হওয়া এই এয়ারলাইন্সটির ফ্লাইটগুলো।
আন্তর্জাতিক রুটে মালিন্দো এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরু করে ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুট থেকে। এর আগে শুধু মালয়েশিয়ায় অভ্যন্তরীণ রুটে এর চলাচল ছিল।
মালয়েশিয়ায় মালিন্দো’র গন্তব্য হল সদ্য চালু হওয়া নতুন কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-২ বা কে.এল.আই.এ (KLIA) ২।
বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে আসা এটি একমাত্র এয়ারলাইন্স যা কে.এল.আই.এ-২ এর টার্মিনাল ব্যবহার করে। অবশিষ্ট এয়ালাইন্সগুলোর গন্তব্য আগের সেই কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, রিজেন্ট এয়ার, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ার উঠানামা করে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-১ এ।
মালিন্দো’র যাত্রীরা বলেন, প্লেন থেকে নামার পরপর ইমিগ্রেশনে যাওয়ার আগেই কিছু ভিন্ন পোশাকধারী মানুষ আমাদের লম্বা সারি করে দাঁড়াতে বলে। এক এক করে চেক করে পাসপোর্ট। তারা পুলিশ কিনা জানি না। পুরো বিমানবন্দরে এমন একটি অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। বেশ বিব্রতকর ব্যাপার এটি। অন্য দেশের যাত্রীরা আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে যায়। এসময় প্লেনের কোন কর্মচারীকেও কাছে পাওয়া যায় না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিদিন ঘটছে এরকম ঘটনা। এছাড়া ঢাকার শাহজালাল বিমান বন্দরেও যাত্রীদের রয়েছে প্রচুর অভিযোগ। গত ঈদেও মালিন্দো’র ফ্লাইট বিলম্ব ও আকস্মিকভাবে ফ্লাইট বাতিলের ঘটনা ঘটে। চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে মালয়েশিয়াগামী দেড় শতাধিক যাত্রী। কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই বাতিল হয় ফ্লাইট। অনাহারে, অনিদ্রায় রাত কাটাতে হয় যাত্রীদের।
এরপর থেকে নিয়মিত ফ্লাইট বিলম্বের অভিযোগ পাওয়া যায় যাত্রীদের কাছ থেকে। বর্তমানে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করছে মালিন্দো এয়ার। এ সব অভিযোগের জন্য জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে এই এয়ারলাইন্স।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৪