কুয়ালালামপুর থেকে ফিরে: সারা বিশ্বের পর্যটকরা এখন হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মালয়েশিয়ায়। এর অপরুপ সৌন্দর্য মোহিত করছে সবাইকে।
কুয়ালালামপুরের কেন্দ্রেই অবস্থিত হোটেল প্রীতি। তবে বাণিজ্যিক বা শহরের অন্য হোটেল এলাকা থেকে একটু দূরে পাহাড় ঘেরা সেতাপাকে অবস্থিত এ হোটেল। হোটেলের চারপাশের মনোরম পরিবেশ আকর্ষণ করে পর্যটকদের।
কুয়ালালামপুরের যান্ত্রিক এলাকা থেকে একটু দূরে অবস্থিত হলেও- যে কোন স্থানে যাতায়াত কিন্তু বেশ সহজ।
সেতাপাক থেকে বাসে যাওয়া যাবে শহরের যে কোন স্থানে। আর একটু নৈসর্গিক গ্যান্টিং হাইল্যান্ড বা আকর্ষণীয় বাতু কেভসে যেতে হলেতো এটাই সেরা জায়গা।
মালয়েশিয়ায় আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দময় বাসের জন্যে একটু নিরিবিলি পরিবেশে থাকতেই হোটেল প্রীতি। স্বল্প ভাড়ায় আন্তর্জাতিক মানের হোটেল সেবা দিচ্ছে এখানে। মালয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের পর্যটকদের সেবা দিতে রয়েছেন বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী।
পরিবার নিয়ে, বন্ধুদের দলবল নিয়ে বা নিজে একা থাকার জন্যেও বেশ উপযোগী প্রীতি হোটেল। এখানে রয়েছে লাক্সারি ফ্যামিলি রুম। ৬ জনের পরিবার নিয়ে বা বন্ধুদের দল নিয়ে থাকার ব্যাবস্থাও রয়েছে। আবার ছোটো পরিবারের জন্যে ফ্যামিলি রুম। ডাবল বেড আর সিঙ্গেল বেডের রুমতো রয়েছেই।
রুমগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সংযুক্ত বাথরুমে রয়েছে গরম ও ঠাণ্ডা পানির ব্যবস্থা। রয়েছে স্যাটেলাইট টেলিভিশন সুবিধা। যেটা মালয়েশিয়াতে পাঁচ তারকা হোটেলেও পাওয়া সম্ভব নয়। আর ডিভিডি প্লেয়ারে দেখতে পারেন নিজের পছন্দমতো সিনেমা। আর হাই স্পিড ওয়াইফাই ইন্টারনেট সুবিধা আপনাকে সংযুক্ত রাখবে সারা দুনিয়ার সঙ্গে।
হোটেলটিতে অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে ফ্যাক্স ও আইডিডি টেলিফোন, ফ্রি সেফ ডিপোসিট বক্স, লন্ড্রি সার্ভিস, কফি ও চা তৈরি করে খাওয়ার সুবিধা। এছাড়াও একটি ম্যাসাজ সেন্টারের সার্ভিস আপনার ক্লান্তি দূর করে চাঙ্গা করবে।
২৪ ঘণ্টাই হোটেলে সার্ভিস চালু থাকে। আর পুরো হোটেলটি সিসিটিভি নিয়ন্ত্রিত। তাই নিরাপত্তার বিষয়টিও বেশ দৃঢ় এখানে।
প্রীতির প্রশস্ত লবিতে বসে আপনি কাজ করতে পারবেন ল্যাপটপে। সারতে পারবেন ব্যক্তিগত বা অফিসিয়াল কাজ। সঙ্গে চা বা কফি তৈরির ব্যবস্থাতো রয়েছেই। আর হোটেলের বাইরে রয়েছে লম্বা লেক। চাইলে সকালের ব্যায়াম বা সন্ধ্যার অবসর দুটোই কাটাতে পারেন লেকের পাড়ে হেটেঁ বা আড্ডা দিয়ে।
প্রীতি হোটেলে অভ্যর্থনা ২৪ ঘণ্টাই খোলা। তাই কখনোই হোটেলে এসে ফিরে যাওয়ার ভয় নেই।
অন্যান্য হোটেলের মতোই দুপুর বারোটায় চেক ইন করে পরদিন ১১টায় চেক আউট করার নিয়ম এখানেও। তবে বাংলাদেশি গ্রাহকরা কথা বলে, চেক আউটের সময় এর পরেও নিয়ে যেতে পারেন। হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই আপনাকে সাহায্য করবেন, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন স্থানে যেতে। আর ট্যাক্সি সুবিধা দেওয়া হবে রিসিপশন থেকেই।
হোটেলে রয়েছে নিরাপদ পার্কিং সুবিধা। রুমে প্রবেশের সঙ্গেই আপনি আরো পাবেন পেস্ট, জুতার ব্রাশসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ফ্রি।
কুয়ালালামপুরের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশি ব্যাবসায়ী বগুড়ার মিনহাজ পর্যটকদের জন্যে আরামদায়ক থাকার সুবিধার্থে প্রতিষ্ঠা করেছেন এ হোটেল। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে হোটেলে স্থানীয় এবং ভিনদেশি পর্যটকদের আগমন বেশি। তবে বাংলাদেশি গ্রাহকদের অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুবিধা দেওয়া হবে। আমাদের সেবায় অবশ্যই গ্রাহকরা খুশি হবেন।
মিনহাজ বলেন, হোটেল প্রীতি ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী বা পর্যটক সবার জন্যেই বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।
প্রীতি হোটেলের সামনে থেকেই রয়েছে বাস সুবিধা। কেএল সেন্ট্রাল বা পাসার সেনি সবখানেই যেতে পারবেন খুব সহজে। আর পাঁচ মিনিট হেঁটে গেলেই দ্রুত গতির এলআরটি ট্রেন সার্ভিস। ট্যাক্সিতেও কুয়ালালামপুরের যে কোনো স্থানে যাওয়া বেশ সহজ।
আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে- এখানে থেকে গ্যান্টিংয়ের আবহাওয়ার স্বাদ পাবেন কিছুটা। কারণ এ পথ দিয়েই গ্যান্টিং হাইল্যান্ডে যেতে হয়।
হোটেল প্রীতি সর্ম্পকে আরো জানতে এবং বুকিং দিতে ভিজট করুন http://www.hotelpritty.com/ ঠিকানায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৪