কুয়ালালামপুর: মালয়েশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি বলেছেন, তার দেশ বিদেশি শ্রমিক আনার বিষয়ে বাংলাদেশকেই প্রাধান্য দেয়, বাংলাদেশির সততা ও বিশ্বস্ততার জন্য।
তিনি বলেন, এ কারণেই আগামী ৩ বছরে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশ থেকে ১৫ লাখ শ্রমিক আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৪ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার সংসদে এসব কথা বলেন তিনি।
একই সঙ্গে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্ব পালনকারী হামিদি বলেন, এটা চোখ বন্ধ করেই বলা যায়, বাংলাদেশি শ্রমিকরা অন্যদের তুলনায় বেশি সৎ। আমরা দেখেছি, তারা যদি ব্যাবসার ক্যাশে বসেন অথবা পেট্রোল স্টেশনের কাউন্টারে বসেন, তারা অনেক বেশি বিশ্বস্ত।
বাজেট আলোচনায় তিনি জানান, এই ১৫ লাখ শ্রমিক চুক্তি স্বাক্ষরের পরেই এদেশে আসবেন। মালিকরা একটি অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের শ্রমিকের চাহিদা চেয়ে আবেদন করবেন।
এ সময় বাগান দাতোহ আসনের সংসদ সদস্য তার সঙ্গে যোগ করেন, শ্রমিকদের প্রথমে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। বাংলাদেশ থেকে আসার আগে মালয়েশিয়ার প্রথা এবং জীবনমান সর্ম্পকে তাদের ধারণা নিয়ে আসতে হবে।
হামিদি আরো বলেন, এখানে অর্থের বিষয়টি আসতে পারে এবং আধুনিক দাসত্বের প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু সরকার ভালো কিছুর জন্যই এটা করছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা নিচ্ছি। যাতে গতবারের মতো পুরো প্রক্রিয়াটি ভণ্ডুল না হয়ে যায়।
তার ভাই আবদুল হাকিমের মালিকানায় একটি অনলাইন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশিদের আনতে চাওয়া নিয়ে ইতোমধ্যেই জাহিদ সমালোচিত হয়েছেন।
গত ৩ নভেম্বর বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে জিটুজি প্লাস পদ্ধতির মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে স্বিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৫
এমএন/এসআর