কুয়ালালামপুর: মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর। কোনো কিছু কেনাকাটার দিক থেকে শীর্ষ শপিং শহর বলা হয় এই কুয়ালালামপুরকে।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এসব দেশি বিদেশি রেস্টুরেন্টগুলোর প্রধান কর্মচারীর সবাই বাংলাদেশি। সহজে ভাষা রপ্ত করার ক্ষমতা ও কাজের পারদর্শিতা দেখিয়ে সুনাম কেড়েছে সবাই।
আরবি, জাপানিজ, চীনা , কোরিয়ান, ইরানিয়ান, ইন্দোনেশিয়ান, ভারতীয় , পশ্চিমা সকল রেস্টুরেন্টগুলোতেই দেখা মিলবে বাঙালিদের।
কুয়ালালামপুর টুইন টাওয়ার থেকে কিছু দূরে বিখ্যাত আরবি রেস্টুরেন্ট ও ডাইনিং ‘ক্যাসেল সালাম’। এখানে প্রায় ৬০ শতাংশ কর্মচারী বাংলাদেশি। বাংলা, মালয়ের পাশাপাশি আরবি ভাষাতেও পারদর্শী তারা।
কথা হয় কিশোরগঞ্জের ছেলে দুলাল এর সঙ্গে। দুলাল জানায় প্রায় পাঁচ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় আছেন তিনি। আগে মালয় রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। পরে কাজ মেলে এখানে।
তিনি জানান, আরবি মালিকদের কাছে বাংলাদেশি কর্মচারিরাই বেশি পছন্দ। কারণ তাদের কাজ রপ্ত করতে বেশি সময় লাগে না ও তারা হয় কঠোর পরিশ্রমী।
কুয়ায়ালালামপুর সেন্ট্রাল ফুড কোর্টের চীনা রেস্টুরেন্টের দায়িত্বে সবাই বাংলাদেশি। মজার ব্যপার হল, গ্রাহকদের সঙ্গে তারা সবাই চীনা ভাষাতেই কথা বলে থাকেন।
এছাড়া এখানে জাপানিদের জনপ্রিয় খাবার রেস্টুরেন্ট ’সুশি কিং’র রান্নাঘরগুলোর প্রধান দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশিরা। সবাই তাদের পারদর্শিতার কারণেই জায়গা করে নিয়েছেন। দোকনের মালিকরাও তাদের নিয়ে বেজায় খুশি।
রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি কুয়ালালামপুরের পেট্রল পাম্প গুলোতেও কাজ করছেন অনেক বাংলাদেশি। বছরের পর বছর নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
বিভিন্ন ভিসা জটিলতা থাকা সত্ত্বেও এক কথায় কুয়ালালামপুরের শ্রম বাজারে বাংলাদেশিদের আধিপত্য বিরাজ করছে। সঠিকভাবে শ্রম বাজারটিকে পরিচালনা করা গেলে এক বিশাল পরিমাণ বৈদিশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
আরএইচএস