ঢাকা: মালয়েশিয়ায় এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ১৫ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক। আগামী ৩ বছরে নারী শ্রমিকসহ এই ১৫ লাখ বাংলাদেশির মালয়েশিয়ায় প্রবেশের কথা রয়েছে।
এখনো জানা যায়নি, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া নারী শ্রমিকদের কোন সেক্টরে নিয়োগ দেয়া হবে। অনলাইনে মালয়েশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও এ নিয়ে চলছে রসিকতা। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া নারী শ্রমিকদের 'ঢাকা ডল' উল্লেখ করে চলছে জোর গুঞ্জন।
সোমবার দেশটির জনপ্রিয় একটি গণমাধ্যমের ইউরোপিয়ান প্রেসফটো এজেন্সিতে (ইপিএ) একটি ছবিসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের হোলি উৎসবে ৪ নারীর অংশগ্রহণ দেখা যায়।
কয়েক বছর আগে মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমগুলোতে রিপোর্ট হয়েছে, বাংলাদেশি পুরুষের প্রতি আকর্ষিত হচ্ছেন মালয়েশিয়ান নারীরা। বাংলাদেশি ছেলেদের চোখ সম্মোহিত করে নারীদের।
অনলাইন ফোরামগুলোতে এ নিয়ে চলছে বিতর্কের ঝড়।
সিউডোনিয়াম ব্ল্যাক হক নামে একজন বলেছেন, বিদেশিদের প্রতি আকৃষ্ট হওয়াটা মালয়েশিয়ানদের জন্যে আর্শ্চযের কিছুই নয়। বিশেষভাবে সুশ্রী কারো প্রতি। কিন্তু সমস্যাটা তৈরি হয় তখনই, যখন পরদেশি তার মালয়েশিয়া ত্যাগ করে নিজ দেশে ফিরে যায়।
নামবিহীন আরেকজন অনলাইন ব্যবহারকারী বলেছেন, এ জন্যে বিদেশি শ্রমিকদের দোষারোপ করার কিছু নেই।
তিনি বলেন, তারা একেবারেই সাধাসিধে মানুষ। যারা এখানে কাজ করতে আসেন এবং শেষে এখানেই নিজেদের স্থায়ী করতে চান। সাধারণত তারা কঠোর পরিশ্রমী হন, তাই পরিবারের দায়িত্বও নিতে পারেন ভাল।
ওয়ানিতা মালয়েশিয়ান চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হেং সেয়াই কি বিশ্বাস করেন, চায়না ডলদের মতোই বাংলাদেশি নারীদের কাজ করার প্রভাব মালয়েশিয়াতে পড়বে না।
এই নারী চেয়ারম্যান বলেন, যতদূর জানি, বাংলাদেশি নারীরা বেশিরভাগই রেস্টুরেন্টে কাজ করবেন অথবা গৃহকর্মী হিসেবে আসবেন। তাই তাদের জন্য সংসার ভাঙ্গবে এমন সম্ভাবনা আপাতত কমই দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
এমএন/জেডএম