ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক প্রেরণ

আবারো সিনারফ্লাক্স, বায়রার বিরোধিতা

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
আবারো সিনারফ্লাক্স, বায়রার বিরোধিতা

ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে নতুন করে শ্রমিক নিতে মালয়েশিয়ার বিতর্কিত কোম্পানি সিনারফ্লাক্সের সঙ্গেই চুক্তি করতে যাচ্ছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ চুক্তির বিরোধিতা করছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা)।



বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি করবেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী সেরি রিচার্ড রায়ট। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিনি ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন।

এ চুক্তির ফলে সিনারফ্লাক্সের মাধ্যমেই বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ শ্রমিকের নিবন্ধন করা হবে।

সিনারফ্লাক্স নামে নতুন এই মানবশক্তি কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশিদের নিয়ে মনোপলি ব্যবসা শুরু হতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ বায়রার।

মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ার সূত্র জানিয়েছে, মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বেসটিনেট বিতর্কিত হয়ে পড়ায় নতুন কোম্পানির নামে এ ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে।

এর অাগে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনকে একটি নথি প্রেরণ করা হয়। যেখানে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম  (বিডাব্লিউএমএস) নামে নতুন একটি বিষয় সর্ম্পকে বলা হয়। পাশাপাশি বিষয়টি সিনারফ্লাক্স এসডিএন বিএইচডি নামে একটি কোম্পানির হাতে দেওয়া হয়।

নথিতে বলা হয়, বাংলাদেশি শ্রমিকদের বায়ো মেডিকেল চেক-আপ থেকে  শুরু করে ভিসা প্রসেসিং, পাসপোর্ট তৈরি এবং নবায়নের বিষয়গুলো পর্যন্ত সিনারফ্লাক্স দেখভাল করবে। শ্রমিকদের নিয়োগ এবং নিবন্ধনের বিষয়টিও থাকবে এই কোম্পানির হাতে।

বর্তমানে মালয়েশিয়া থেকে অবৈধ শ্রমিকদের দেশে ফেরত অানার কাজটি কাগজে কলমে করছে বেসটিনেট। তবে অাদতে ইমিগ্রেশন বুথ থেকে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বাড়তি এক হাজার রিঙ্গিত নেওয়া ছাড়া কিছুই করছে না কোম্পানিটি। এক্ষেত্রে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনও অনেকটা অসহায় বলে জানিয়েছে সূত্র।

বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র বাংলানিউজকে বলেন, এর অাগে মালয়েশিয়ার বিষয়টি দেখতো বেসটিনেট। কিন্তু এবার ঢাকায় মালয়েশিয়ার দূতাবাসেও প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে সিনারফ্লাক্স। এর ফলে বাংলাদেশিদের হাতে থাকবে না শ্রমিক নিয়োগ এবং শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি।

সিনারফ্লাক্সের এ অপকর্মের পেছনে পুরনো কোম্পানি বেসটিনেটকেই ইঙ্গিত করছে পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন সূত্র। আর এর মূলে রয়েছেন অামিনুর রশিদ নামে একজন বাংলাদেশি, যিনি বেসটিনেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

বেসরকারি এই আইটি কোম্পানিটির একজন পরিচালক হচ্ছেন মালয়েশিয়ার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানশ্রী আজমী খালিদ এবং শ্রম বিভাগের সাবেক পরিচালক দাতুক টেংকু ওমর টেংকু বট।

এরই মধ্যে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও চিঠি দিয়েছে বায়রা।

বায়রা সভাপতি অাবুল বাশার বলেন, এর ফলে মালয়েশিয়ান এই কোম্পানিটি সকল কিছুর ব্যবস্থা করবে। তখন সরকার নির্ধারিত খরচ নয়, তাদের নির্ধারিত এজেন্সির খরচেই শ্রমিকদের মালয়েশিয়া যেতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
এমএন/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ