মেলাকা (মালয়েশিয়া) থেকে: মালয়েশিয়ায় বর্তমানে প্রায় আট থেকে দশ লাখ বাংলাদেশির অবস্থান। বর্তমানে বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে সেদেশে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ রয়েছে।
গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ার সর্ববৃহৎ কম্পিউটার মল লো ইয়াট মল থেকে প্রায় ১৫০ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। লো ইয়াট মলে প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ বাংলাদেশি কাজ করছেন। বিভিন্ন মোবাইল দোকান এবং কম্পিউটার রিপেয়ারিং দোকানগুলো এখন বাংলাদেশিদের হাতে।
তবে পুলিশের ঘন ঘন এই তল্লাশি তাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। কিছু কিছু বাংলাদেশি অভিযোগ করেন, ‘রাগটা শুধু বাংলাদেশিদের ওপরই বেশি। আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন পাকিস্তান, নেপাল ও ইন্দোনেশিয়ার শ্রমিকরাও কাজ করেন। অবাক করার ব্যপার হল, সবার একই ভিসা থাকলেও শুধুমাত্র গ্রেফতার করা হচ্ছে বাংলাদেশিদের। বিভিন্ন ধরনের বৈধ কাগজপত্র থাকলেও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশিরা’।
মেলাকা প্রদেশেও বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে কাজ করছেন বাংলাদেশিরা। তারা নিজেদের কাগজপত্র বৈধ করতে চাইলেও নানা ধরনের অস্পষ্ট নিয়ম কানুনের প্রভাবে সাহস পাচ্ছেন না। যে রি হায়ারিং বা পুনর্নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে তার ফায়দা নিচ্ছেন এজেন্টরা। এজেন্টদের হাতে প্রতারিত হবার ভয়ে অনেকে যেতেও সাহস পাচ্ছেন না।
মেলাকার বান্দার হিল্লায় শহরের ভারতীয় রেস্টুরেন্টে কর্মরত আবু নাসের বলেন, ‘দিনের ২৪ ঘণ্টা আমাদের পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে হয়। আমার সব কাগজপত্র বৈধ। তবুও হয়রানি করে আর টাকা না দিলে বিভিন্ন ভয় দেখায়। আর আমাদের বাংলাদেশিদের সঙ্গেই এরা এতো বেশি সাহস পায়। আমরা যে বেতন পাই, তার অর্ধেকের বেশি দেশে পাঠাই। এরপর তাদের ‘ঘুষ’ দেওয়ার পর তেমন কিছুই থাকে না’।
অথচ বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণের দিক দিয়ে মালয়েশিয়া এখন দ্বিতীয় অবস্থানে। প্রবাসীরা একটি গঠনমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৬
এএসআর