ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মালয়েশিয়া

এফটিএমএস ও মেলভার্নে শিক্ষার্থী পাঠাচ্ছে ওয়েস্টফেস গ্লোবাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬
এফটিএমএস ও মেলভার্নে শিক্ষার্থী পাঠাচ্ছে ওয়েস্টফেস গ্লোবাল

ঢাকা: বিদেশে শিক্ষার্থী পাঠানোর কনসালটেন্সি ফার্মগুলোর বিজনেস হাব হয়ে উঠেছে ঢাকার পান্থপথ। এ এলাকায় অফিস খুলে বসা সব প্রতিষ্ঠানই দাবি করছে, তারা মালয়েশিয়ায় ভাল মানের প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী পাঠাচ্ছে।

তবে মালয়েশিয়ায় তাদের পাঠানো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খবর আসছে ভয়াবহ প্রতারণার।

পশ্চিম পান্থপথের ৪৪/৮ হক প্লাজার ২য় তলায় ওয়েস্টফেস গ্লোবাল লিমিটেডের বিডি এক্সপার্ট কনসালটেন্সি। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়ার।

২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে ওয়েস্টফেস গ্লোবাল লিমিটেডের মাধ্যমে কুয়ালালামপুরের এফটিএমএস কলেজে ভর্তি হন ঢাকার শিক্ষার্থী জুবায়ের আলম। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ওয়েস্টফেস থেকে বলা হয়েছিল কুয়ালালামপুরের একটি ভাল বিশ্ববিদ্যালয় এটি। অথচ এখানে এসে দেখতে পাই পড়াশোনার মান খুবই নিম্নমানের। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ভিসা দিয়েই এ কলেজ চলে।

সম্প্রতি কুয়ালালামপুরে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, সেন্ট্রাল মার্কেটের একটি গলিতে এই কলেজ। সেখানে দুটি ফ্লোর ভাড়া নিয়ে চলছে রমরমা শিক্ষার্থী ব্যবসা।

আরেক শিক্ষার্থী জসিমউদ্দিন বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করেন, ওয়েস্টফেস গ্লোবালের মাধ্যমে আমি এফটিএমএস কলেজে ভর্তি হই। এখানে আজাহারি নামে এক মালয় কর্মকর্তার আমাদের সাহায্য করার কথা। অথচ এখানে এসে আর আজাহারির দেখা মেলেনা। এদিকে ঢাকায় ওয়েস্টফেসের অফিসে ফোন দিলেও আর কোন সহযোগিতা নেই। এছাড়াও দেশে ওয়েবসাইটে কলেজের যে সুযোগ সুবিধার বর্ণনা এবং ছবি দেয়া হয়েছে তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিলও নেই।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, দেশে ওয়েস্টফেস থেকে বলে দেয়া হয়েছিল, এখানে থাকা-খাওয়ার খরচ পার্ট টাইম চাকরি করেই মেটানো যাবে। আর চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে তারা সাহায্য করবেন। তবে এখানে এসে তাদের কোন প্রতিনিধি তো দূরের কথা, আজাহারির দেখা মেলাও ভার।

কুয়ালালামপুরে এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী যাচ্ছে মেলভার্ন কলেজে। এই কলেজেও শিক্ষার্থী পাঠায় ওয়েস্টফেস।

ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার শিক্ষার্থী সোহেলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মেলভার্ন কলেজে আসি। তবে এখানে এসে জানতে পারি, টিউশনির টাকাও জমা দেয়নি এজেন্ট প্রতিষ্ঠান।

কলেজটি শুধুই ভিসা বিক্রি করে থাকে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এফটিএমএস এবং মেলভার্ন কলেজে শিক্ষার্থী পাঠানোর কথা স্বীকার করে ওয়েস্টফেস গ্লোবালের ম্যানেজার হাবিবুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেরাও তো যাচ্ছেন।

এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললে তিনি বলেন, আমি একমাস হলো মাত্র এখানে যোগ দিয়েছি। আমাদের কোম্পানি প্রধান দেশের বাইরে। তিনি দুই একদিনের মধ্যে আসবেন, তখনই আপনি এসে খোঁজ নিয়েন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ