কোয়ানতান (মালয়েশিয়া) থেকে ফিরে: দেশ নিয়ে অনেক স্বপ্ন ফাহিম তামজিদুল করিমের। তাই উচ্চ শিক্ষার জন্যে ছুটে যান এশিয়ার অন্যতম উদীয়মান অর্থনীতির দেশ মালয়েশিয়ায়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কেন্দ্রে অবস্থিত দেশটির পাহাং প্রদেশের রাজধানী কোয়ানতানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মিসি বিষয়ে পিএইচডি করছেন তিনি।
ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনির্ভাসিটি মালয়েশিয়ার ফাহিম একা-ই নন। তার মতো আরও অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে দেখা গেলো এই ক্যাম্পাসে।
তাদের মধ্যে তাসনুভা সারোয়ার, আবদুল্লাহ আল মামুন, আরিফুল ইসলাম, জহির উদ্দিন বাবর অন্যতম। প্রত্যেকেই যেন একেকজন অনন্য বাংলাদেশ। আর এসব উজ্জ্বল শিক্ষার্থীদের নিয়েই ভবিষ্যত বাংলাদেশের উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি দেখতে পান এখানকার শিক্ষকরা।
ফাহিমের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মোগলটুলীতে। বাবা মাহবুবুল করিম। দেশের শীর্ষ একটি ওষুধ কোম্পানির পরিচালক পদে কর্মরত।
এক বোন দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ফাহিম পড়েছেন রাজধানীর মিরপুরের হারমান মেইনার স্কুলে। নটরডেম কলেজ থেকে ইন্টারমেডিয়েট পাসের পর স্নাতকোত্তর করেছেন বেসরকারি এশিয়া প্যাসেফিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
মালয়েশিয়ার এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম সরকারের অধীনে পিএইচডি করছেন ফাহিম। তার মেধা ও মননশীলতায় গর্বিত এখানকার বাংলাদেশি শিক্ষকরাও।
অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম বাংলানিজকে বলেন, নানা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধা ও যোগ্যতায় কোনো অংশেই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা কম নন। তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবন তাক লাগিয়ে দেয় অন্যদের। ফাহিম কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচড করছেন এখানে। লিক্যুইড মেডিসিনকে পাউডার ফর্মে টেকসই প্রযুক্তিতে রূপান্তর ও সংরক্ষণ নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি।
‘এরই মধ্যে তিনটি জার্নালে প্রকাশ হয়েছে। গবেষণা নিয়েই বহুদূর এগিয়ে যাবে,’ এমনটাই প্রত্যাশা করেন অধ্যাপক জাহিদুল।
এদিকে পিএইচডি শেষ করে ফিরে দেশের গবেষণা উন্নয়ন ও স্বার্থে কাজ করতে চান ফাহিম। নিজের মেধা ও শিক্ষাকে দেশের কাজে লাগাতে চান তিনি।
বাংলানিউজকে ফাহিম বলেন, দেশের শিক্ষকদের আন্তরিকতা, অগ্রজদের স্নেহ আর বন্ধুদের ভালোবাসায় আমরা নিবিড় বন্ধন গড়ে তুলেছি। সে বন্ধনটাই আসলে একটি বাংলাদেশ।
**সেই মৎস্য কর্মকর্তাই এখন সেরা অধ্যাপকদের একজন
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৬
জেডআর/এমএ