কুয়ালালামপুর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কার্গো টার্মিনালে পৃথক দুই অভিযানে এসব নিষিদ্ধ দাঁত ও আঁশ আটক করা হয়।
প্রথম অভিযানে ৭৫ দশমিক ৭ কেজি ওজনের ২৩ টি হাতির দাঁত জব্দ করা হয়।
মালয়েশিয়ান কাস্টমসের সহকারী মহাপরিচালক দাতু মোহাম্মদ পুডজিমান জানান, আফ্রিকা মহাদেশের নাইজেরিয়া থেকে পাঠানো হাতির দাঁতগুলো দু’টি বক্সে সজ্জিত ছিলো। বক্স দু’টি তালিকাভুক্ত ছিলো ফুড আইটেম হিসেবে।
অপর অভিযানে ৩শ’ দশমিক ৯ কেজি ওজনের ৬ বস্তা বনরুই আঁশ জব্দ করে কাস্টমস। এগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৩.৮৬ মিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত। এগুলোর চালান আসে আফ্রিকারই আর দেশ কঙ্গো থেকে।
তবে কোনো অভিযানেই কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
ঘর ও ভবন সজ্জা এবং প্রচলিত ওষুধ তৈরির কারণে চীন ও ভিয়েতনামসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে হাতির দাঁতের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বিলুপ্তির শঙ্কায় ১৯৮৯ সালেই হাতির দাঁতের বিশ্ব বাণিজ্য বেআইনি ঘোষণা করা হয়।
আর বিশ্বের সবচেয়ে বেশী পাচারকারী স্তন্যপায়ী হওয়ার কারণে ঐতিহ্যগত ওষুধ এর উপকরণ বনরুই এরইমধ্যে উঠে গেছে মারাত্মক বিপন্ন তালিকায়। চীনে এর মাংস অভিজাত খাবার বলে সমাদৃত।
ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া বন্যপ্রাণীর দুষ্প্রাপ্য অঙ্গ-প্রতঙ্গ চোরাচালানের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। দেশটিতে এ অপরাধে জড়িত থাকলে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধানও রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৭
জেডএম/