শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে মালয়েশিয়ায় বিএনপির উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ১০ম কারামুক্তি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘সরকার দেশ পরিচালনায় পুরোপুরি ব্যর্থ।
সরকার জনগণকে ভয় পায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের উপর আস্থা হারিয়ে সরকার প্রশাসনের উপর আস্থা রাখছে বেশি। বর্তমান সরকার ভোট ছাড়া ক্ষমতায় গিয়ে বন্ধুকের নলের জোড়ে দেশ চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া ও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তারা জনবিচ্ছিন্ন। কিন্তু স্বৈরাচার বেশিদিন স্থায়ী হয় না। ইতিহাস বলে জয় জনগণেরই হয়। আর বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল’।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ নীলনকশা করছে। জিয়া পরিবার নিয়েও তারা নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। শেখ হাসিনা চায় ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি পাতানো নির্বাচন দিতে। কিন্তু বিএনপি ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। কারণ জনগণ একবার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তারা আর বঞ্চিত হতে চায় না। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার হাতেই শাসনভার অর্পণ করতে চায়। ’
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি চাকসু ভিপি মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘খালেদা জিয়া স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। দেশকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে গিয়েছিলেন অন্য উচ্চতায়। কিন্তু বর্তমানে গণতন্ত্র গণভবনের চার দেয়ালে আবদ্ধ। মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, মিটিং-মিছিল করার অধিকার নেই। বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর চালানো হচ্ছে নির্যাতন, দেওয়া হচ্ছে মামলা। এক দেশে দুই নিয়ম। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ লুটপাট, খুন, গুম করলেও তাদের নামে মামলা হয় না। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা কিছু না করলেও তাদের নামে মামলা হয়’।
চাকসু ভিপি নাজিম আরো বলেন, খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক জিয়া ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। মুক্তিকামী জনগণ সরকারকে প্রতিহত করবে। গত নির্বাচনে চট্টগ্রামে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কঠোর আন্দোলন হয়েছিল। এবারও হবে। তিনি সভা থেকে কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীর মুক্তি দাবি করেন।
মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী বাদলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ূম, একেএম ওহিদুজ্জামান।
প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি চাকসু ভিপি মো. নাজিম উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়া বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মাহবুবুল আলম শাহ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুদ্দিন সালা মিঠু, বিএনপি নেতা শাহেদ চৌধুরী সায়েদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭
জেডএস