শিক্ষকতা আর নিত্য গবেষণার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের ইনচার্জ হিসেবে উজ্জ্বল করেছেন দেশের মুখ।
এক ক্যাম্পাসেই ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম সরকার (৪৬) ও বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক আহমেদ জালাল খান চৌধুরীর (৫৮) মতো ড. এবিএম হেলাল উদ্দিনের মাধ্যমে ভিন্ন এক বাংলাদেশকে চেনেন দেশটির শিক্ষাবিদ ছাড়াও এখানে পড়তে আসা অসংখ্য বিদেশি শিক্ষার্থী।
গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি রাজারহাট বাবুনগরে। বাবা মরহুম এজহারুল ফয়েজ। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয়।
ব্যাংকার বাবার চাকরির সুবাদে রাজধানীর কাজীপাড়ায় কেটেছে শৈশব আর কৈশোর।
আদমজী স্কুল হয়ে নটরডেম কলেজ। উচ্চ শিক্ষার্থে চলে যান ভারতের উত্তর প্রদেশ। রসায়ন বিভাগে ভর্তি হন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে প্রতিষ্ঠিত আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সেখান থেকে গ্র্যাজুয়েশন ও মাস্টার্স শেষ করে দেশে ফিরে যোগ দেন অর্গানন ফার্মাসিউটিক্যালসে।
বছর তিনেক কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগে চাকরি করে ফের উচ্চ শিক্ষার্থে পাড়ি জমান দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ায়।
পিএইচডি করেন উত্তর-পশ্চিম উপকূলের রাজ্য পেনাং এর ইউনির্ভাসিটি সায়েন্স মালয়েশিয়ায়।
২০০৩ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনির্ভাসিটি মালয়েশিয়ায়।
বর্তমানে কুয়ানতান ক্যাম্পাসেই তার অধীনে একজন পিএইচডি করেছেন। আরেকজন শিক্ষার্থী পিএইচডি সম্পন্ন করার পথে।
ড.এ বিএম হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান,ওষুধ নিয়ে কেবল গবেষণা আর প্রশিক্ষণই নয়, কোয়ালিটি কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স নিয়েও যথেষ্ট কাজ করতে হয় এখানে।
গবেষণা ও প্রশিক্ষণের ধারাবাহিকতায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত ‘আইকপ’ নামের ওষুধ কারখানাটি স্ট্যাণ্ডার্ড ফর
হালাল ছাড়াও কোয়ালিটি কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স এর দিক দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথম।
এমন মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের ইনচার্জ হিসেবে তার মাধ্যমে অনেকেই নতুন করে চেনে বাংলাদেশকে।
নিজের গবেষণা, মেধা ও শ্রম দিয়ে দেশের মুখ উজ্জল করে প্রবাসে এভাবেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন ড.এবিএম হেলাল উদ্দিনরা।
জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৭
জেডএম/