বাংলাদেশে এই অপরিকল্পিত পাহাড় কাটা নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা। তবে পাহাড় কেটেও কীভাবে তা সুরক্ষা করা যায় এবং সৌন্দর্য বাড়ানো যায়, তা শিখতে পারি মালয়েশিয়ায়।
বড় কোনো প্রযুক্তিজ্ঞান বা কারিগরিজ্ঞানের দরকার নেই। চোখে দেখলেই বোঝা যায় উন্নত এই দেশের কাছে।
পথ চলতে চলতে মাঝেমধ্যই দেখা যায় সুবিশাল পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে রাস্তা কিংবা স্থাপনা। তবে কোথাও খুব বেশি ক্ষতি করা হয়নি, আর যেখানে পাহাড় কাটা হয়েছে সেখানে প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রধান শহর কুয়ালালামপুর থেকে যে কোনো একদিকে বের হলেই পাহাড়ের কোলঘেঁষা মহাসড়ক ধরেই গাড়ি চলবে।
কুয়ালালামপুর থেকে উত্তরের শহর মালাক্কা যেতে দেখা গেল, পাহাড়ের কোলঘেঁষা রাস্তা হলেও রাস্তার পাশে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে কংক্রিটের ড্রেন। আর পাহাড়ের পানি উপর থেকে নামার জন্যও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে ড্রেন। অার সেই ড্রেন সিঁড়ির মতো করে দেওয়া হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে উঠতে পারা যায়। এতে পাহাড়ের সৌন্দর্য বেড়েছে অনেকগুণ।
ধস ঠেকাতে পাহাড়ের গায়ে খাজ কেটে কেটে ধাপে ধাপে সবুজ ঘাস লাগোনো হয়েছে। আর রাস্তা থেকে উপরে লোহার তারের জাল দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।
আবার কোথাও দেখা গেল কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে পাহাড়ের গায়ে শক্ত গাঁথুনি দেওয়া। তাতে রঙ লাগিয়ে করা হয়েছে বর্ণিল। লাখো পর্যটকের দেশ মালয়েশিয়ায় পাহাড়ের এসব কারুকাজ আকৃষ্ট করে সহজেই।
পাহাড়ের এসব ব্যবস্থাপনা পাহাড় রক্ষার পাশাপাশি পাহাড়ের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক গুণ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, জানুযারি ২১, ২০১৮
এমআইএইচ /জেএম