মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৩ সালে যেখানে এক রিঙ্গিতে ২৫ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যেতো, ২০১৬ সালে তা ১৬ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে আসে। ফলে এক হাজার রিঙ্গিত আয় করলে যেখানে ২৫ হাজার টাকা হতো, তা সাড়ে ১৬ হাজার টাকায় নেমে আসে।
নির্মাণ শ্রমিক রাসেল আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, এ সময়টায় তাদের জীবনযাত্রার মান কমে গিয়েছিলো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশেও সবকিছুর দাম বেড়ে গিয়েছে। আবার আমাদের এখানেও বেতন বাড়ছিল না। রিঙ্গিতের মান কমে যাওয়ায় আয় কমে যায়। কারণ আমাদের সব হিসাবেই টাকায় মানে করতে হয়।
তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ এ দু’বছরে দেশে টাকা পাঠাতে সমস্যা হতো। কারণ দেশে পাঠানো টাকার পরিমাণ কমাতে পারছিলাম না। ফলে এখানে কষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। বাসা ভাড়ার পর মূলত খাবারের খরচ কমাতে হয়েছে।
২০১৭ সালের শুরু থেকেই রিঙ্গিতের মান বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালের শুরু থেকেও রিঙ্গিতের মান বেড়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালেও আমেরিকান ডলারের বিপরীতে রিঙ্গিতের মান বাড়ছে। ডিলাররা বলছেন, অন্ধকার থেকে ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে রিঙ্গিতের মান।
ফরেক্স জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় এক ডলারের বিপরীতে ৩ রিঙ্গিত ৯০ সেন্ট পাওয়া যাচ্ছে। গত সপ্তাহতেও এক ডলারের বিপরীতে রিঙ্গিতের মান ছিল ৪ এর উপরে।
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ওয়ান্ডা কর্পের প্রধান স্টিফেন ইনস বলেন, এক রাতের মধ্যেই ডলারের তুলনায় আবারো কিছুটা বেড়েছে রিঙ্গিতের মান। বোঝা যাচ্ছে ডলারেরও সংগ্রাম করতে হচ্ছে রিঙ্গিতের সঙ্গে।
এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে ডলারের তুলনায় রিঙ্গিতের মান ৩ রিঙ্গিত ৭০ সেন্ট হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
২০১৮ জুড়েই রিঙ্গিতের মানে স্থিতাবস্থা থাকবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই মান বৃদ্ধি এশিয়ার অর্থনীতির জন্যে ইতিবাচক হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
এমএন/এসএইচ