মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এম রেজাউল করিম রেজার সভাপতিত্বে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচির শুরুতে স্বাগত বক্তৃতা করেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক অহিদুর রহমান অহিদ।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করা মানে বাংলাদেশকে আঘাত করা, মুক্তিযুদ্ধকে আঘাত করা। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই বাংলাদেশের নাগরিক আমরা। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে এক সূত্রেই গাঁথা দেখি। এর যে কোনো একটির অপমানে সংক্ষুব্ধ হই।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি অবমাননাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তিসহ সরকারের কাছে চারদফা দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে আরও বক্তৃতা রাখেন- মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ বাদল, যুবলীগ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ কামাল হোসেন চৌধুরী, শফিকুর রহমান চৌধুরী, হুমায়ুন কবির, প্রদীপ কুমার, লিটন আজিজ দেওয়ান, হাবিবুর রহমান, দাতো আমীন, মিনহাজ উদ্দিন মিরান, প্রকৌশলী মাসুদ রানা, প্রকৌশলী রাহাতুজ্জামান, মিনহাজ উদ্দিন মিরান, ফয়সাল হক, কাজী সারজিল সায়েফ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রাশিদ মিয়াজী, আবুল কালাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে চারদফা দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো- লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মরতদের কোনো অবহেলা ছিলো কি-না তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া, এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হওয়া ভিডিওতে যাদের চেহারা দেখা যাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা, ব্রিটিশ নাগরিক হলে যুক্তরাজ্যকে চাপ দিয়ে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা ও তাদেরকে বাংলাদেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা।
পরবর্তীতে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রইস হাসান সারোয়ার বরাবর পেশ করা হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজাকে কেন্দ্র করে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি অবমাননা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
এছাড়া জাতির জনকের ছবি নিয়ে অসম্মানজনক পোস্ট ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
জিপি