মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) পুত্রাজায়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ এ কথা জানান।
এর আগে দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে বিদেশি কর্মীদের ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, ‘এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। বর্তমানে মাত্র ১০টি এজেন্সি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারে। এটা তাদের জন্য একচেটিয়া হয়ে যায়। তাছাড়া বাংলাদেশি কর্মীদের জনপ্রতি ২০ হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত দিতে হয় এজেন্সিগুলোকে। ’
‘এক্ষেত্রে আমরা চাই বাজারটি সম্প্রসারণ হোক। প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাংলাদেশের সব এজেন্সি কর্মী পাঠাক, এতে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় খরচও অনেক কমে যাবে। ’
ড. মাহাথির বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধা দিতে একক বা সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা অনুসরণ করা হবে।
তিনি জানান, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের বিভিন্ন বিষয় দেখভালের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা হবে। যে দেশ থেকেই কর্মী নিয়োগ দেওয়া হোক না কেন, সবাই ওই কমিশনের একক ব্যবস্থাপনার আওতায় থাকবে।
‘সরকারের উচ্চপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা ওই কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন, তিনি সাবেক বিচারপতি কিংবা প্রধান সচিবও হতে পারেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কর্মীদের নীতি ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখভাল করবে ওই কমিটি। ’
ওই কমিটি লেবার মার্কেট ইনফরমেশন অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ইনস্টিটিউটের তত্বাবধানে থাকবে বলে জানান মালয়েশিয়ার অর্থনীতির ভিত প্রতিষ্ঠা করা ড. মাহাথির।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) পদ্ধতি চলমান ছিল। তবে ২০১৬ সালে বেসরকারিভাবে কর্মী নিয়োগের সুযোগ রেখে জিটুজি প্লাস পদ্ধতি সংক্রান্ত সমঝোতা সই করে দুই দেশের সরকার।
তখন আবেদনপত্রের (এসপিপিএ) মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা সংস্থা বাংলাদেশের মাত্র ১০টি এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর সুযোগ দেয়। সেখানেও নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮/আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা
এমএ/