স্থানীয় প্রবাসীরা জানিয়েছেন, দেশটির সেলাঙ্গ জেলার চুইঙ্গা বুলু থানায় এ বাজার গড়ে উঠেছে। বাঙালিরা এ বাজার গড়ে তুললেও এখানে শুধু বাংলাদেশিরা ব্যবসা করেন না, মালয়, থাই, চায়নিজসহ অন্য দেশের ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, ১৯৯৬ সালের ১৫ অাগস্ট দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ যখন অবৈধ বিদেশিদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে বৈধ করার সুযোগ দেন, তখন থেকেই ওই এলাকায় বসবাস শুরু করেন বাংলাদেশিরা।
ফেনী জেলার প্রবাসী মো. ইয়াকুব অালী বলেন, ১৯৯৬ সালের শেষের দিকে বাজারটি গড়ে ওঠে। ৯৬ সালে যখন এই এলাকায় অামরা অাসি, তখন শুধু জঙ্গল অার কিছু খামার ছিল। মানুষের বসতি ছিল না। এখন এই এলাকায় প্রচুর শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, কয়েকজন বাংলাদেশি মিলে বাজারটি গড়ে তোলার পর থেকে কিছু বাঙালি পণ্য-সামগ্রী নিয়ে রাস্তায় বসে বিক্রি করতেন। কিন্তু এখন বাজারটি অনেক বড় হয়ে গেছে।
বাংলা পাসারে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশিরা ইমিটেশন সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। কেউ অালু, সবজি ও মাছ বিক্রি করছেন। সেই বাজারে মালয়েশিয়ান হরেক রকমের খাবার নিয়ে বসেছেন হু মাও সি। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজারটি বাংলাদেশিরা গড়ে তুললেও এখানে সব দেশের লোকজনই অাসেন।
প্রবাসীরা জানান, প্রতিদিন বাজার বসলেও প্রতি রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সেদিন সব বাংলাদেশিরা বাজারে আসেন।
প্রবাসী ব্যবসায়ী অাব্বাস অালী বলেন, ৩ মাস ধরে বাজারে ব্যবসা করছি। বেচাকেনা ভালো। একই কথা জানালেন অারেক প্রবাসী মো. মোমেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি রোববার অামরা এখানে মিলিত হই। বাজারটি বাংলা নামে হওয়ায় প্রবাসের মাটিতে ভালোই লাগে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
টিএম/আরএ