গত ৫ মে থেকে ৭ মে পর্যন্ত তেরেঙ্গানু রাজ্য ও ক্লাং ভ্যালি এলাকায় পৃথক অভিযানে এই চারজনকে পাকড়াও করা হয়। সোমবার (১৩ মে) বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার পুলিশ।
মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) আবদুল হামিদ বাদর সাংবাদিকদের বলেন, চারজনই জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে তারা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ‘মিশন’ বাস্তবায়নে একসঙ্গে থাকছিল এবং রমজানের প্রথম সপ্তাহেই মালয়েশিয়ায় বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছিল।
আইজিপি জানান, বিনোদন কেন্দ্রের পাশাপাশি তারা খ্রিস্টান, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ে বড় ধরনের হামলার ছক কষছিল এবং দেশের অনেক ‘হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিত্বকেও’ খুন করার পরিকল্পনা করছিল।
এই হামলাচেষ্টার মূল পরিকল্পনাকারী ৩৪ বছর বয়সী ওই মালয়েশিয়ান পেশায় একজন নির্মাণকর্মী। তাকে পাকড়াও করার সময় পুলিশ একটি পিস্তল, ১৫ রাউন্ড বুলেট, ছয়টি ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) জব্দ করে।
আর যে রোহিঙ্গা দু’জনকে আটক করা হয়েছে, তাদের একজন ‘শরণার্থী মর্যাদায়’ একটি হোটেলে ‘ওয়েটার’ হিসেবে কাজ করছিল। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে, রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন আরসার সমর্থক সে এবং এর আগে কুয়ালালামপুরে মিয়ানমার দূতাবাসে হামলার ছক কষেছিল।
চারজনের তথ্যের সূত্র ধরে এদের সঙ্গে জড়িত আরও তিন সন্ত্রাসীকে ধরার জন্য সর্বাত্মক অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
এইচএ/