ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টাঙ্গাইলে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৩
টাঙ্গাইলে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে গত কয়েক দিন যাবতই তাপমাত্রা ক্রমেই নামছে। এতে জেলায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন।

আকাশ পরিষ্কার হলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ অবস্থায় কাঠখড় পুড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন শহর ও গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। এছাড়াও শীতের কারণে ঠাণ্ডাজনিত রোগের সংখ্যা বেড়েই চলছে।

জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন যাবত টাঙ্গাইলের তাপমাত্রা কমলেও এখনো শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়নি। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি)টাঙ্গাইলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি)১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সরেজমিন টাঙ্গাইল পৌরসভার আকুরটাকুর পাড়া, কাগমারা, এনায়েতপুর, বাঘিল ইউনিয়নের দুরিয়াবাড়ী, ধরেরবাড়ী, টাবলাপাড়া, যুগনী, দাইন্যা ইউনিয়নের বাউসা, বাইমাইল ও পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের খাড়জানাসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি এলাকাতেই উত্তরের তীব্র ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। শীতের কারণে অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছে না। কেউ কেউ গরম পোশাক পড়ে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন। আবার অনেককেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।

শহরের আকুরটাকুর পাড়া এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক রশিদ মিয়া জানান, কয়েক দিন যাবত যেমন বাতাস, তেমন ঠাণ্ডা। শীতের কারণে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। তাই আগুন জালিয়ে শরীরটা একটু গরম করার চেষ্টা করছি।

কাগমারা এলাকার বাসিন্দা খালেক বলেন, আমি শীত সহ্য করতে পারি না। তাই কষ্ট হওয়ায় দিনের বেলায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি। শীতের কারণে তার বস্তির অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

সদুল্লাপুর গ্রামের কৃষক আবেদ আলী বলেন, কয়েক দিন পর বোরো মৌসুম শুরু হবে। তার আগে ক্ষেতে কিছু কাজ থাকে। শীতের কারণে সেই কাজ টুকুও করতে পারছি না। শীতের দিনে না খেয়ে থাকা যায়। কিন্তু গরম কাপড় বা আগুন ছাড়া থাকা যায় না। রাতদিন আমরা আগুনের পাশেই বসে থাকি।

টাঙ্গাইল আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন বলেন, দিনদিন টাঙ্গাইলের তাপমাত্রা কমছে। আকাশ পরিষ্কার হলে তাপমাত্রা আরও কমবে। এছাড়াও এ অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকবে।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক খন্দকার সাদিকুর রহমান বলেন, তীব্র শীতের কারণে শিশুদের নিউমোনিয়া ও বড়দের অ্যাজমা বেড়েছে। হাসপাতালে রোগীও বেড়েছে প্রায় চারগুণ। আগামী রোববার (৮ জানুয়ারি) থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড খোলা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।