পাথরঘাটার (বরগুনা): বরগুনা পাথরঘাটায় ১৫০ কেজি বা প্রায় ৪ মণ ওজনের শাপলা পাতা মাছসহ কবির নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট শাফায়েত আবরার বলেন, চরলাঠিমারা থেকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের প্রধান সড়ক হয়ে টমটমে অবৈধ শাপলা পাতা মাছ নিয়ে যাবে এমন তথ্য পাই। ঘটনাস্থলে আগে থেকেই অপেক্ষা করি আমরা। সকাল আটটার দিকে সেই টমটম দেখলে থামিয়ে ১৫০ কেজি অবৈধ শাপলা পাতা মাছসহ কবির নামে একজনকে আটক করতে সক্ষম হয় পাথরঘাটা কোস্টগার্ড।
পরে আটক কবিরকে পাথরঘাটা বন বিভাগের উপস্থিতিতে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং জব্দকৃত শাপলা পাতা মাছ বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শাপলা পাতা স্ট্রিং রে প্রজাতির মাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম হিমানটুরা ইমব্রিকাটা (Himantura Imbricata)। ইংরেজি নাম (Leopard Stingray)। এ প্রজাতির মাছ অগভীর সমুদ্রের বেশি পাওয়া যায়। সমুদ্রের অগভীরস্থানে তলদেশ ঘেঁষে বিচরণ করে শাপলা পাতা মাছ।
শাপলা পাতা খেতে সুস্বাদু, এতে ভিটামিন এবং খনিজ যেমন ভিটামিন বি১২ এবং ভিটামিন ডি রয়েছে। প্রোটিন রয়েছে ২০ শতাংশ। সাধারণ পুষ্টির বিবেচনায় এটি একটি ভালো খাবার।
তবে এ মাছে মার্কারি থাকায় এটি খাওয়ার কিছু অপকারিতাও রয়েছে বলে অনেক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
শাপলা পাতা মাছ খেলে ক্যানসার, হার্ট, কিডনি ও লিভারের ক্ষতি, ডেমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রম), হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এছাড়া মাছটির লেজের কাঁটা খুব বিষাক্ত। এর আঘাতে মানবদেহে ক্ষত হলে বমি বমি ভাব, দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি অজ্ঞানও হতে পারে।
২০০৬ সালে স্টিং রে মাছ নিয়ে ডকুমেন্টারি করার সময় এ মাছের আঘাতেই মৃত্যু হয় বিখ্যাত কুমির শিকারি ও অস্ট্রেলিয়ান প্রকৃতিবিজ্ঞানী স্টিভ আরউইনের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৩
এসএএইচ