ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে পিবিআই কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা অভিযোগে আব্দুল কাইয়ুম ওরফে অনিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ।
কাইয়ুম ওরফে অনিক উচাখিলা ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত রাত ২ টার দিকে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা থেকে অনিককে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গত ২ জানুয়ারি জেলার ঈশ্বরগঞ্জের উচাখিলার সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. আব্দুর রাশেদ ওরফে রাশিদুল ইসলাম রাশিদের (৩০) সেল নম্বরে ফোন করে আব্দুল কাইয়ুম ওরফে অনিক।
এ সময় সে নিজেকে পিবিআই পুলিশের উপ-পরিদর্শক ফারদিন আহমেদ বলে পরিচয় দিয়ে বলে যে- তোমার (রাশিদ) নামে পিবিআই-তে মামলা হয়েছে। তুমি আমাদের আমাদের নগদ বা বিকাশ নম্বরে ৫০ হাজার টাকা পাঠাও, মামলাটি আমরা এখন শেষ করে দেব।
একই সঙ্গে রাশিদের কাছে ইমু নম্বর চায় মামলার কপি দিবে বলে। ইমু নম্বর দিলে পুলিশের মনোগ্রামযুক্ত একটি ভুয়া প্রাথমিক তথ্য বিবরনীর কপি পাঠায়।
ওই কপিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কলামে উপ-পরিদর্শক ফারদিন আহমেদের নাম লেখা ছিল। এরপর ৩ জানুয়ারি সকালে আবারও ফারদিন আহমেদ পরিচয়ে টাকা পাঠানোর জন্য রাশিদের কাছে ফোন করে এবং টাকা না পাঠালে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ পিবিআই পুলিশের কার্যালয়ে তুলে আনার হুমকি দেয়।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানায়, রাশিদ বিষয়টি নিয়ে তার পরিচিতদের সঙ্গে পরামর্শ করে ময়মনসিংহ পিবিআই কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন। পরে ময়মনসিংহ কার্যালয় থেকে রাশিদকে জানানো হয় ফারদিন আহমেদ নামে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা এখানে কর্মরত নাই। তখন রাশিদুল ইসলাম জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে পিবিআই উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিতাভ দাস তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল কাইয়ুম ওরফে অনিককে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার বলেন, এই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযান চালিয়ে অনিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২৩
এসএ