ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিল্পাঙ্গনে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৩
এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিল্পাঙ্গনে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে

ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, শিল্প-সংস্কৃতি যেকোনো দেশ ও জাতির আত্মপরিচয় বহন করে। শিল্পীদের তুলির আঁচড়ে ফুটে ওঠে সমকালীন শিল্পভাবনাসহ যেকোনো দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি।

তিনি বলেন, আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে শিল্পীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর মতো আন্তর্জাতিক আয়োজনের মাধ্যমে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে, দেশ ও সভ্যতা উপকৃত হয় এবং সর্বোপরি মানবিকতার উন্মেষ ঘটে।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ‘১৯তম দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০২২’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, প্রতিবছর অমর একুশে বইমেলা আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের সাহিত্যাঙ্গনে যেভাবে জাগরণ সৃষ্টি হয়, তেমনিভাবে প্রতি দুই বছর পর পর আয়োজিত দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমাদের শিল্পাঙ্গনে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। দেশি-বিদেশি বরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে এ প্রদর্শনী পরিণত হয়েছে সৃজনশীলতা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং হৃদয় ও মনন বিনিময়ের এক সমৃদ্ধ প্ল্যাটফর্মে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন। ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি আয়োজিত সাহিত্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘সাহিত্য-শিল্পে ফুটিয়ে তুলতে হবে এদেশের দুঃখী মানুষের আনন্দ-বেদনার কথা। সাহিত্য-শিল্পকে কাজে লাগাতে হবে তাদের কল্যাণে। জনগণই সব সাহিত্য ও শিল্পের উৎস। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনোদিন কোনো মহৎ সাহিত্য বা উন্নত শিল্পকর্ম সৃষ্টি হতে পারে না। ’ জাতির পিতার প্রতিশ্রুত সেই গণমুখী সংস্কৃতিকে বিকশিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, বরেণ্য শিল্পী মনিরুল ইসলাম ও শাহাবুদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুব করিম।

সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, যেকোনো ধরনের শিল্প প্রদর্শনী বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অন্যতম উপাদান স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজন একটি জ্ঞানমনস্ক, চিন্তাশীল, মানবিক ও সৃজনশীল প্রজন্ম। এ আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শনী সৃজনশীল ও মননশীল জ্ঞান চর্চার অপার সুযোগ তৈরি করেছে।

আলোচনা অনুষ্ঠানের পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এতে মনোজ্ঞ পরিবেশনা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২২
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।