রাজশাহী: পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সদর দফতর রেলভবনে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে দুদক।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে এই অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের হাসপাতালগুলোতে কেনাকাটা খাতে মোট সাত কোটি ২০ লাখ টাকার অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় বর্তমানে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে পশ্চিমাঞ্চলের রেলভবনে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম। দুপুরে ঝটিকা অভিযানের সময় তারা রেলের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে দুদক কার্যালয়ে। এছাড়া অনুসন্ধানের জন্য আরও বেশ কিছু নথিপত্র তলব করা হয়েছে।
এদিকে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের হাসপাতালগুলোতে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বিভিন্ন খরচের ওপর অডিট করে মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম। ২০১৯ সালের মার্চ ও এপ্রিল মাসে এ অডিট সম্পন্ন হয়। এতে বিভিন্ন খাতে খরচের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়মনীতি না মানার বিষয়টি ধরা পরে। ওই অডিটে সাত কোটি ২০ লাখ টাকা খরচে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। আর এ বিষয়ে অভিযোগ ওঠার পর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল এলাকায় অবস্থিত রেলওয়ে হাসপাতালেও ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। এ টিমে নেতৃত্ব দেন দুদকের রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন।
এ টিমে অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ও সহকারী পরিদর্শক মাজবুবুর রহমান।
এ সময় তারা রেলওয়ের বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার ডা. এসএম মারুফুল ইসলামকে অনিয়মের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে রেলওয়ে হাসপাতালের কেনাকাটা ও খরচ সংক্রান্ত বেশ কিছু রেকর্ড সংগ্রহ করেন। পশ্চিম রেলওয়ের হাসপাতালে অভিযানের পর দুদক টিম রেলভবনে যায়। সেখানে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম অসীম কুমার তালুকদারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদকের ঝটিকা অভিযানের কথা স্বীকার করে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে হাসপাতালের কেনাকাটা ও খরচের বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্রও চেয়েছেন তারা। এজন্য কয়েকদিন সময় নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র তারা দুদকে পৌঁছে দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
এসএস/এসআইএ