ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার করার দাবি গার্মেন্টস হেলপারদের 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার করার দাবি গার্মেন্টস হেলপারদের 

ঢাকা: ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকা করে অবিলম্বে মজুরি বোর্ড পুনর্গঠনসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস হেলপাররা।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদ (বিজিডব্লিউইউসি) আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এসব দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বেড়েই চলেছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে বর্তমানে নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকরা। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার কারণে তাদের জীবনযাত্রার মান একেবারেই নিম্নমুখী। শ্রমিকেরা বর্তমানে অনাহারে-অর্ধাহারে কাজ করছেন। তাই সরকারের উচিত শ্রমিকদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে চাল, ডাল, আটা, ভোজ্যতেল ও চিনির রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা।

তারা আরো বলেন, দেশে যখনই শ্রম আইন হয়েছে, সেটা শ্রমিক স্বার্থ-বিরোধী শব্দ চয়ন সংযোজিত হয়েছে। এ সকল কালা-কানুন বাতিল করে শ্রমিকবান্ধব শ্রম আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করা দরকার। এছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রম অধিদপ্তর এবং ডাইফির (কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর-শ্রম ও কর্মসংস্থান) দুর্নীতি আজ সীমাহীন এবং অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। শ্রম মন্ত্রণালয়কে অবিলম্বে দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে এবং সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

তাদের ৮ দফা দাবি হলো- ৭ম গ্রেডের শ্রমিকদের জন্য ৬৫ শতাংশ মূল মজুরিসহ ২২ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ; জানুয়ারি-২০২৩ এর মধ্যে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন; সাম্প্রতিক বাংলাদেশ শ্রমবিধিমালায় থাকা শ্রমিক স্বার্থ-বিরোধী বিধি সমূহ বাতিল করে নতুন বিধিমালা প্রণয়ন; বাংলাদেশ শ্রম আইন চলমান সংশোধনী প্রক্রিয়ায় শ্রমিক সংগঠন সমুহের প্রস্তাবনা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে একটি শ্রমিকবান্ধব শ্রম আইন প্রণয়ন; ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় শ্রম অধিদপ্তরের বে-আইনি হস্তক্ষেপ বন্ধ করাসহ ইউনিয়ন গঠনে ২০ শতাংশ শ্রমিকের অংশগ্রহণের বাধ্যবাধকতা বাতিল করে যে কোনো শিল্পে বা প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ১০ জন শ্রমিক দ্বারা ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের আইন প্রণয়ন; ভর্তুকি মূল্যে শ্রমিদের চাল, ডাল, আটা, ভোজ্যতেল, চিনি, শিশুখাদ্য রেশন হিসেবে প্রদান; বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সরকারি সান্ধ্যকালীন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন; সরকারি চাকরিজীবী মায়েদের মতো বেসরকারি শিল্পের মাকেও ছয় মাস মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ সুবিধাদী শ্রম আইনে যুক্ত করা।

মানববন্ধন থেকে এসব দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ২৭ জানুয়ারি গাজীপুরে, ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে, ১০ ফেব্রুয়ারি নারায়নগঞ্জে ও ২৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়া এলাকায় আঞ্চলিক শ্রমিক জমায়েত এবং আগামী ৬ মার্চ ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে শ্রমিক সমাবেশ ও শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিজিডব্লিউইউজির চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্ব মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপন, ভাইস চেয়ারম্যান এম. দেলোয়ার হোসেন, মাহতাব উদ্দিন সহিদ, সুলতানা বেগম, যুগ্ম মহাসচিব বজলুর রহমান বাবলু, ফিরোজা বেগম, আব্দুল আজিজ ও অর্থ সম্পাদক তাহমিনা রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
এসসি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।