ঢাকা: চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বকে শুধু কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিবেচনা করা ঠিক হবে না। কারণ, দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন হাজার বছরের পুরনো।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীতে একটি হোটেলে চীনের নতুন বছর উপলক্ষে আয়োজিত বসন্ত উৎসব-২০২৩’ এ প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবনিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই (অ্যাবকা) ও ঢাকায় চাইনিজ দূতাবাস যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অ্যাবকার সদস্যসহ নানা পেশার মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও অ্যাবকার সভাপতি মুন্সি ফয়েজ আহমেদ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন। অ্যাবকার সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সাহাবুল হক স্বাগত বক্তব্য দেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী ও শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত যা প্রতিনিয়ত আরও শক্তিশালী হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী চীনের নতুন বছর পালনের উৎসবের সঙ্গে বাংলাদেশের পহেলা বৈশাখ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠান পালন করেন। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠান যত বেশি পালিত হবে দুই দেশের মানুষের সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং কানেকটিভিটি ততো বেশি জোরদার হবে।
নতুন বছরের উৎসব বা বসন্ত উৎসব চীনের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে একটি। এ উৎসব উপলক্ষে চীনারা সাতদিনের ছুটি পালন করেন।
অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, গত তিন বছর কোভিডের কারণে যোগাযোগ খাতে অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল। এ সমস্যা এখন দূর হয়েছে। চীনে যোগাযোগ এখন অনেক সহজতর হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পুরো দমে বিমান যোগাযোগ চালু হবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের মানুষকে পড়াশোনা ও ব্যবসা থেকে শুরু করে সব প্রয়োজনে এখন থেকে নির্দ্বিধায় চীনে যোগাযোগের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সামনের দিনগুলোয় চীন-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা থেকে শুরু করে সার্বিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। তিনি দুই দেশের বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও জোরদারে অ্যাবকার ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
অ্যাবকা এ সময় একটি ভিডিও ডকুমেন্ট প্রদর্শন করে। এতে চীন বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা দিক তুলে ধরা হয়। এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে প্রায় ১২ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনে অধ্যয়ন করেন যারা দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার প্রশংসা করে চীনা রাষ্ট্রদূত দুই দেশের সম্পর্ক আরও গতিশীল করার আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
টিআর/এমজে