ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-লুটের অভিযোগে আ.লীগ নেতা আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৩
মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-লুটের অভিযোগে আ.লীগ নেতা আটক

জামালপুর: জামালপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা ও লুটতরাজের অভিযোগে মামলা হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমানের (৪২)  বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দির যমুনা সার কারখানায় এলাকায় মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের ছেলে এবিএম মশরেকুল আলম লিচুর ঘরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

 

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে অভিযুক্তকে উপজেলার কান্দারপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। অভিযুক্ত আ.লীগ নেতা মিজানুর রহমান পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।  ওই গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে তিনি।

অভিযুক্তকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সুলতান মাহমুদ।  

তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার সকালে মিজানুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় সে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেন তিনি। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী পুকুরের পানিতে থাকার পর তিনি পুলিশের হাতে ধরা দেন।

এ ঘটনায় শনিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সরিষাবাড়ী থানায় একটি মামলাও হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর।  

তিনি জানান, বাড়িঘরে হামলা-লুটতরাজের অভিযোগে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনের নাসে বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে এবিএম মশরেকুল আলম লিচু বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামী আটককৃত সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে জেল হাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

মামলা ও পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের ছেলে এবিএম মশরেকুল আলম লিচুর ঘরে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা লিচুর স্ত্রী আফরিন সুলতানা ও ছেলে রাফি আল-হাসানসহ বাড়ির লোকদের পিটিয়ে লক্ষাধিক নগদ টাকা ও দুইভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুটতরাজ করে নিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, যমুনা সার কারখানায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৩০ অক্টোবর ও ১৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের দু'গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মিজানুর রহমান একপক্ষের নেতৃত্ব দেন।  

সংঘর্ষে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন এবং পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দু'টি মামলা দায়ের করেন। উভয় মামলায় মিজানুর সম্প্রতি জামিনে এসেই শুক্রবার রাতে সংঘবদ্ধ হয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বাড়িঘরে হামলা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৩
এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।