ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লিডার্সের সাস্টেইন্যাবিলিটি পুরস্কারপ্রাপ্তি দেশের জন্য বড় অর্জন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৩
লিডার্সের সাস্টেইন্যাবিলিটি পুরস্কারপ্রাপ্তি দেশের জন্য বড় অর্জন

ঢাকা: ‘লোকাল এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ সোসাইটি’-লিডার্সের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ প্রাপ্তিকে দেশের জন্য বড় ধরনের অর্জন বলে মনে করেন বাংলদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল।  

তিনি বলেন, এই পুরস্কার ওই অর্জনের পানি সংকটকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে।

একইভাবে সংকট নিরসনে জরুরি পদক্ষেপের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।

রোববার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ‘লোকাল এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ সোসাইটি’-লিডার্সের মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।  

সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল।  

আলোচনায় অংশ নেন ওয়াটার কিপার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক মো. ফারুক আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন ও শহীদ আলীম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক সানজিদুল হাসান।

অনুষ্ঠানে মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, লিডার্সের এই পুরস্কারপ্রাপ্তি উপকূলীয় অঞ্চলের সমস্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। যেটা আমাদের নীতিনির্ধারকদের সচেতন করবে। যা তাদেরকে ওই অঞ্চলের পানি সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে নজর দিতে বাধ্য করবে।  

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদেরও দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা ওই অঞ্চলের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি নিয়ে লেখার জন্য শুধু কপ সম্মেলন নয়, ঝুঁকিতে থাকা ওই অঞ্চলের জীবন-জীবিকার সংকটগুলো তুলে আনা প্রয়োজন।

লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল বলেন, এক জমকালো অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ওই পুরস্কার তুলে দিয়েছেন। যে অনুষ্ঠানে বিশ্বের ১১টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  

এর আগে ২০২০ সালে একই অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই পুরস্কার দেশের বেসরকারি সংস্থাগুলোকে উন্নয়ন কাজে উৎসাহিত করবে। পুরস্কারের অর্থ (৬ কোটি টাকা) উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের পানি সংকটসহ অনান্য সমস্যা সমাধানে ব্যয় করা হবে বলেও তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উদ্ভাবনী ও অনুপ্রেরণামূলক টেকসই সমাধানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাস্থ্য, খাদ্য, শক্তি, পানি এবং গ্লোবাল হাই স্কুল ক্যাটাগরিতে জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি এই পুরস্কার দেওয়া হয়। উপকূলীয় অঞ্চলের পানি সংকট নিরসনে কাজ করার স্বীকৃতি হিসেবে লিডার্স এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৩
টিএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।