ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিটি উপজেলায় হবে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
প্রতিটি উপজেলায় হবে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র  সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ

ঢাকা: দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। যেখানে একটি সিনেপ্লেক্স ও লাইব্রেরি থাকবে।

 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, স্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রথমে আমরা ১০০ উপজেলা টার্গেট করে কাজ শুরু করবো। এর মধ্যে ৩৫টি উপজেলার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রায় চূড়ান্ত।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের আলোচনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলনে কে এম খালিদ।

তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের যে ভাসানী হল আছে সেটির ডিপিপি প্রণয়ন প্রায় চূড়ান্ত। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আশা করছি তা হয়ে যাবে। এই ১০০ উপজেলার বাইরেও ৪৯২টি উপজেলাতেই আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে চাইছি। যেন সব জায়গায় সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়ে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন জঙ্গিবাদ রুখে দিতে সাংস্কৃতিক চর্চার কোনো বিকল্প নেই। এক সময় আমাদের জারি-সারি-বাউল-যাত্রা সবই চলতো। সেই জায়গাটিতেই আমরা ফিরে যেতে চাই যেন সংস্কৃতি দিয়ে আমরা জঙ্গিবাদকে রুখে দিতে পারি।

তিনি বলেন, আমাদের যে সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলো আছে তাদেরকে আমরা উদ্বুদ্ধ করি এবং প্রায় ১৪০০ সংগঠনকে বাৎসরিক অনুদান দেই। আবেদনের ভিত্তিতে আমরা এসব দিচ্ছি যেন আমাদের জেলা শিল্পকলা একাডেমি সাংস্কৃতিক উনন্নয়নে কাজে লাগতে পারে।

তিনি বলেন, সেশনে জেলা প্রশাসকেরা মোটামুটি সাতটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন যার পাঁচটিই ছিল সংস্কৃতি নিয়ে। তবে এসব বিষয়ের মধ্যে একটি ছাড়া সব ব্যাপারেই আমরা প্রক্রিয়া শেষ করেছি। বাকি কাজ যেগুলো আছে তার সবই প্রক্রিয়াধীন।

বিশেষ করে আমাদের প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর নিয়ে প্রশ্ন এসেছে। শিল্প-সাহিত্য-সংকৃতি-প্রত্নতত্ত্ব-কপিরাইট-বাংলা একাডেমি সবকিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে। সেগুলো আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে চলমান আছে। তারা খুশি আছেন, আমি একটু অখুশি, কারণ সব কাজ শেষ করতে পারছি না।

আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এরই মাঝে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের চিঠি দিয়েছি, কোথাও কোনো কালচারাল আয়োজন করতে কোনো পূর্বানুমতির দরকার নেই। শুধু লক্ষ্য রাখতে হবে যে সেই জায়গাতে যেন সংস্কৃতির মাঝে অপসংস্কৃতি না ঢুকে।

বইমেলায় কয়েকটি প্রকাশনীর স্টল না পাওয়া নিয়ে বাংলা একাডেমির সিদ্ধান্ত নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কে এম খালিদ বলেন, বাংলা একাডেমির একটি নীতিমালা রয়েছে। সে অনুযায়ী যারা স্টল পাওয়ার পাবে। মত প্রকাশের অধিকার সবার আছে, কিন্তু এর মানে এই না যে কেউ আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব পতাকা নিয়ে কটাক্ষ করবে। এর বাইরে সবার মত প্রকাশের সর্বোচ্চ সুযোগ আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
এমকে/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।